-67de6b6ff3a65.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
সুস্বাস্থের অধিকারী হতে হলে সবার প্রথমে খাবারের তালিকায় যে নাম উঠে আসে তা হল গরুর দুধ। ক্যালসিয়াম, মিনারেল, ভিটামিন ইত্যাদি পুষ্টিগুণে ভরপুর এটি। তবে কিছু কিছু মানুষের দুধ সহ্য হয় না। কেননা এতে রয়েছে ল্যাকটোজ। এটি শরীরে শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করলেও অনেকেই এটি হজম করতে পারেন না। তাছাড়াও পেটে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস হয়। তাই যাদের গরুর দুধে সমস্যা তারা এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকে।
তবে পুষ্টিগুণের অভাব মেটাতে বিকল্প হিসেবে বাদাম দুধ বা আমন্ড দুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। আমন্ড বাদামের থেকে তৈরি দুধ, যাতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, মিনারেল। এতে ভিটামিন ডি পরিপূর্ণ থাকে। এমনকি ৩০ গ্রামের গমের রুটিতে যে প্রোটিন রয়েছে, সেই একই পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে এক কাপ আমন্ডের দুধে। তাই বহু স্বাস্থ্য সচেতন মানুষই নিজের ডায়েট চার্টে আমন্ডের দুধ রাখতে ভালোবাসেন।
তবে অনেকেই মনে করেন, আমন্ড দুধ খুবই উচ্চ প্রোটিন সম্পন্ন পানীয়। ফলে সেই ভয় থেকে অনেকেই দূরে রাখেন আমন্ডের দুধকে। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা জানান, ১৩ থেকে ১৬ টি আমন্ডে ৩.৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। তাদের মতে গমের তুলনায় ওজন অনুযায়ী, আমন্ডের প্রোটিনের গাঢ়ত্ব অনেক বেশি থাকলেও, এটি উচ্চ প্রোটিন সম্পন্ন খাদ্য নয়।
বাজার থেকে না কিনে বাড়িতে বসে নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন আমন্ড দুধ। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে খুব সহজেই বাসায় বসেই এটি তৈরি করে নিতে পারবেন।
প্রস্তুত প্রণালি :
প্রথমেই এক কাপ বা ২৫০ গ্রাম আমন্ড সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সেই বাদামের খোসা ছাড়িয়ে নিন। আমন্ডের খোসায় ট্যানিন থাকে। যা দেহে পুষ্টি শোষণ করতে বাধা দেয়। তাই এটি না খাওয়াই ভালো।
এবার একটি ব্লেন্ডারে সবগুলো আমন্ড দিয়ে তাতে ১.২৫ লিটার পানি দিয়ে ব্লেন্ড করতে হবে। সবকিছু একসাথে ভালো মতো মিশে গেলে একটি ছাঁকনির মাধ্যমে ছেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে গেল আমন্ড দুধ।
টিএ