
ছবি : সংগৃহীত
বাঙালি চা-পাগল জাতি। চায়ের কথা শুনলেই আমাদের মুখে এক অবর্ণনীয় আনন্দের অনুভূতি সৃষ্টি হয়। তবে যদি বলা হয়, শুধু চা-পান করে বা তার গন্ধ শুঁকেই আপনি রোজগার করতে পারবেন— শুনে অবাক হবেন? না, অবাক হওয়ার কিছু নেই। বাস্তবতায় এমনটাই ঘটছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, টি টেস্টার নামের পেশার মাধ্যমে আপনি চা-পান করে এবং তার গুণমান বিচার করে মোটা বেতন উপার্জন করতে পারেন।
যদিও টি টেস্টার শুনতে একদম সহজ মনে হলেও টেস্টারের কাজটি মোটেই সহজ নয়। চায়ের গন্ধ এবং স্বাদ বুঝে তার গুণগত মান নির্ধারণ করতে বিশেষ দক্ষতা প্রয়োজন। সাধারণত ফুড সায়েন্স, বোটানি বা এগ্রিকালচার ডিগ্রিধারীদের জন্য এই পেশায় ঢোকা সহজ হয়। তবে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিলেও এই পেশায় প্রবেশ করা সম্ভব।
টি টেস্টার হতে হলে কী যোগ্যতা প্রয়োজন?
টি টেস্টার হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে গুণটি দরকার তা হলো, চায়ের স্বাদ এবং গন্ধ বোঝার ক্ষমতা। এ ছাড়া স্বাস্থ্যের দিক থেকেও এই ক্ষমতাটি বজায় রাখতে হবে। স্বাদ, গন্ধ, রঙ এবং গুণগত মান যাচাই করার জন্য ধৈর্য, মনোযোগ, বিশ্লেষণ ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন। ইংরেজি ভাষায় রিপোর্ট লেখার দক্ষতা থাকলে তা কাজের সুবিধা আরও বাড়ায়।
কীভাবে টি টেস্টার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করবেন?
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চা টেস্টিং ও ম্যানেজমেন্টের প্রশিক্ষণ প্রদানকারী বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। University of North Bengal দার্জিলিংয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন টি ম্যানেজমেন্ট (PGDTM) কোর্সও প্রদান করে, যা চায়ের তাত্ত্বিক এবং ব্যবহারিক জ্ঞান দেয়। এ ছাড়া বেশকিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও এই ধরনের কোর্স চালু রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান আপনাকে হাতে-কলমে শেখার সুযোগ দেবে, যা ভবিষ্যতে চাকরি বা ব্যবসায় অত্যন্ত কার্যকর হবে।
কীভাবে আয় বাড়বে?
ভারতে টি টেস্টারের কাজের শুরুতে প্রায় ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা মাসিক আয় হতে পারে। তবে সময়ের সাথে অভিজ্ঞতা অর্জন করে এই আয় ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা বা তারও বেশি হতে পারে।