একটা সময় ধারণা করা হতো, হার্ট অ্যাটাক মূলত পুরুষ ও বয়স্কদের অসুখ। কিন্তু গত কয়েক বছরে এ ধারণা বদলে গেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, ইদানীং হার্ট অ্যাটাক নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন যারা, তাদের একটা বড় অংশই কমবয়সী তরুণী। জিনগত কারণে বা জন্মগতভাবেও পুরুষ ও নারীদের হার্টের রোগ থাকতে পারে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, আচমকাই হৃদ্রোগ হানা দিচ্ছে।
অত্যধিক মানসিক চাপ, কর্মব্যস্ত জীবন, সঠিক সময়ে খাবার না খাওয়া, দৈনন্দিন যাপনের মধ্যেই নিহিত রয়েছে হৃদরোগের কারণ।
তরুণীদের ক্ষেত্রে হার্টের অসুখের উপসর্গগুলো হলো, হঠাৎ ক্লান্ত বোধ করা, ঘুমে ব্যাঘাত, নিশ্বাসের সমস্যা, হজমের গোলমাল এবং অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা।
এ রকম কিছু লক্ষ্য করলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এর পাশাপাশি ধুমপান ত্যাগ, পরিমিত আহার (কম ফ্যাট এবং মাপমতো কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়া), এবং নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর সুস্থ থাকবে। প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং যেকোনো রকম ঠান্ডা পানীয় কম খেতে হবে। টানা ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমও জরুরি।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হার্ট অ্যাটাকের অনেক কারণ থাকতে পারে। তবে অন্যতম বড় কারণ হলো ডায়াবেটিস। ৫৫ বছরের কমবয়সী মহিলাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। আর এই ডায়াবিটিসই ডেকে আনে হার্টের রোগ।
‘জামা কার্ডিয়োলজি’ নামে একটি মেডিকেল জার্নালে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল। সেখানে গবেষকরা দাবি করেছিলেন, টাইপ ২ ডায়াবিটিস করোনারি ডিজ়িজ়ের ঝুঁকি প্রায় ১০ গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
এমজে