ছবি : সংগৃহীত
বড়দিনের উৎসব শুধু কেক, ক্রিসমাস ট্রি বা সান্তা ক্লজের উপহার দিয়েই সীমাবদ্ধ থাকে না। পৃথিবীজুড়ে এই দিনটি পালন হয় নানা ঐতিহ্য আর আচার-অনুষ্ঠান নিয়ে, যার মধ্যে অন্যতম একটি হল বড়দিনের আগের রাতে বাচ্চারা বাড়ির বাইরে বা জানালায় মোজা ঝুলিয়ে রাখা। এই প্রচলনটি প্রায় এক হাজার বছর পুরোনো। এর সঙ্গে জড়িত একটি আছে একটি হৃদয়গ্রাহী কাহিনী।
মোজা ঝুলিয়ে রাখার এই রীতি শুরু হয় আনুমানিক চতুর্থ শতাব্দীতে, তুরস্কে। সেন্ট নিকোলাস নামক এক দয়ালু পুরুষ তার দানশীল কাজের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তিনি গরিবদের সাহায্য করতেন, এমনকি গোপনে তাদের জন্য উপহারও রেখে আসতেন।
জানা যায়, তুরস্কের একটি গরিব পরিবারে তিনটি মেয়ে ছিল, তাদের বিয়ের জন্য পিতার পক্ষে যথেষ্ট অর্থ ছিল না। সেন্ট নিকোলাস যখন এই পরিবারটির অবস্থার কথা শুনলেন, তখন তিনি তাদের সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিলেন।
এরই প্রেক্ষিতে এক রাতে ওই গরিব পরিবারের বাড়ির কাছে গিয়ে সোনাভর্তি একটি থলি রেখে আসেন। ঘটনাচক্রে, ওই দিন ওই গরিবদের বাড়িতে চিমনির ওপর বেশকিছু লাল রঙের ভিজে মোজা শুকাতে দেওয়া ছিল। নিকোলাস সেই মোজাতেই সোনা ভরে রেখে এসেছিলেন।
এই ঘটনার পর থেকে সেন্ট নিকোলাসের নাম হয়ে ওঠে সান্তা ক্লজ। এদিকে ছোটরা বিশ্বাস করতে শুরু করল যে, সান্তা ক্লজ রাতে হরিণে চড়ে স্লেজ গাড়িতে করে আসেন এবং মোজার মধ্যে উপহার রেখে যান। সেই থেকেই বড়দিনের আগের রাতে বাচ্চারা অপেক্ষায় থাকে সান্তা ক্লজের জন্য এবং তার আগমনের চিহ্ন হিসেবে তারা বাড়ির জানালা বা চিমনিতে মোজা ঝুলিয়ে রাখে।