৩২ বছর ধরে গোসল করেননি গঙ্গাপুরী মহারাজ ওরফে ছোটু বাবা। তাকে দেখলেই অসংখ্য মানুষ ভিড় করছেন। কেউ ছবি তুলতে চান, কেউ কথা বলতে চান। এসব এড়াতে তিনি বেশিরভাগ সময় নিজের তাঁবুতে লুকিয়ে থাকেন এবং গঙ্গার তীরে নির্জনে সাধনা করেন।
কুম্ভমেলা শুরু হয়েছে। প্রয়াগরাজে এই মহাকুম্ভে যোগ দিয়েছেন হাজার হাজার নাগা সন্ন্যাসী। নিজেদের শিবিরে ধুনো জ্বেলে জপ, তপ, ধ্যানে নিমগ্ন অনেকেই। এমনকি অনেককে ধুমপান করতেও দেখা যাচ্ছে। আর সকলের মধ্যে এই বছরের মহাকুম্ভের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ওরফে ছোটু বাবা।
জুনা আখড়ার নাগা সাধক এই গঙ্গাপুরী মহারাজ নাগা সন্ন্যাসীদের মধ্যে সবথেকে গৌরবময় অসমের কামাখ্যা পীঠের সঙ্গে যুক্ত। সবাই এই কুম্ভমেলায় পুণ্যার্জনের জন্য গঙ্গায় স্নান করতে আসছেন। কিন্তু গঙ্গাপুরী মহারাজ এখানেও স্নান করবেন না। চেহারায় পাঁচ-ছয় বছরের শিশুর মতো দেখতে গঙ্গাপুরী মহারাজ দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে স্নান করেননি।
তার উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৮ ইঞ্চি, অর্থাৎ ৪ ফুটের কাছাকাছি। বয়স সাতান্ন বছর। কম উচ্চতার কারণে তাকে অনেকেই 'ছোটু বাবা' বলে ডাকেন। এই গঙ্গাপুরী মহারাজ নিজেই জানিয়েছেন কম উচ্চতা তার দুর্বলতা নয়, বরং শক্তি। এই কারণেই তাকে দেখতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করেন।
গঙ্গাপুরী মহারাজের উচ্চতা ছাড়াও আরও একটি আকর্ষণের বিষয় হলো তিনি বিগত ৩২ বছর ধরে স্নান করেননি। একটি সংকল্পের কারণে তিনি এই কাজ করেছেন। যদিও তা ৩২ বছরেও পূর্ণ হয়নি। কিন্তু কী সেই সংকল্প, তা কাউকেই প্রকাশ করেননি তিনি। গঙ্গাপুরী মহারাজ জানান যে তার সংকল্প পূর্ণ হলে প্রথমেই তিনি শিপ্রা নদীতে স্নান করবেন। তার কথায়, শরীরের থেকে মনকে পবিত্র রাখা গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য নাগা সন্ন্যাসীদের থেকে দূরে নির্জনে তন্ত্র সাধনা করেন তিনি, অনেক সময় শ্মশানেও ধ্যান করেন ছোটুবাবা।
এমজে