ব্রিসবেনে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আলফ্রেড’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৮

অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনের দিকে প্রচণ্ড বেগে আঘাত হানতে যাচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আলফ্রেড’। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে ১৫৫ কিলোমিটার গতিতে উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। তবে এরইমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব শুরু হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ব্যস্ততম ও জনবহুল শহর ব্রিসবেনে প্রবল বৃষ্টিসহ ঢেউ উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করেছে। অস্ট্রেলিয়ার সরকারি আবহাওয়া অধিদপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় ‘আলফ্রেড’ অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর ব্রিসবেনের দিকে ধেয়ে আসছে। বুধবার সকাল থেকে কুইন্সল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের দিকে ধাবিত হয় ঘূর্ণিঝড়টি।
বিদ্যুৎ কোম্পানি ‘সেনসিয়াল এনার্জি’ জানিয়েছে, প্রবল বাতাসের ফলে প্রায় ৪ হাজার ঘরবাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সরকারি আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি রাতভর ধীরলয়ে কোরাল সাগরের দিকে অগ্রসর হওয়ার পর ব্রিসবেনের ২৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। প্রায় ৪০ লাখ উপকূলবাসী এই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ হয়ে ব্রিসবেনবাসী অন্ধকারে পড়তে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, শুক্রবার গভীর রাতে কিংবা সকালের দিকে রাজধানী ব্রিসবেন ও পর্যটন শহর গোল্ডকোস্টে ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানতে পারে আলফ্রেড।
আবহাওয়বিদ সারাহ স্কুলি জানিয়েছেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে উপকূলবাসীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছি। যদি এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে তাহলে অস্ট্রেলিয়ার ৫০ বছরের ইতিহাসে এটাই হবে প্রথম বড় ধরনের ঝড়।’
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্রিসবেন শহরে ঝড়ো বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ কারণে দক্ষিণ-পূর্ব কুইন্সল্যান্ড ও নিউ সাউথ ওয়েলসের উত্তরে জনবহুল বেশ কয়েকটি উপশহরের কয়েক হাজার বাড়ি ঝুঁকিতে রয়েছে। সমুদ্র উপকূলীয় শহরের অসংখ্য বাসিন্দা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, তার সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে জনগণকে নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত। উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের সাহসিকতার সাথে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।
উল্লেখ্য, ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় সর্বাধিক প্রবাসী বাংলাদেশিদের বসবাস। তবে বেশিরভাগ প্রবাসী শহরের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি থাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ওএফ