এক মুসলিম বিধায়ককে শোকজ, আরেকজনকে সতর্ক করলেন মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৫
-67d3b47228552.jpg)
‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করে ফের দলীয় শৃঙ্খলার মুখে পড়লেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তার সাম্প্রতিক বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকেই তিনি নির্দেশ দেন, যাতে বিলম্ব না করে বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়।
শোকজ নোটিশ ও কঠোর পদক্ষেপের ইঙ্গিততৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই হুমায়ুনের কাছে কারণ দর্শানোর চিঠি পৌঁছাবে। তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তার জবাব সন্তোষজনক না হলে দল কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে, এমনকি সাসপেন্ডও করা হতে পারে।
বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতবিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি এক বিতর্কিত মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর বিধায়কদের ‘চ্যাংদোলা’ করে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন। এর প্রতিবাদে হুমায়ুনও কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানান, যা নতুন করে বিতর্কের জন্ম দেয়। বৃহস্পতিবার তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমার কাছে আমার জাতি দলের চেয়ে বড়।’
প্রবীণ মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীও সাম্প্রতিক সময়ে কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। এ কারণে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকেও সতর্ক করেছেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি বলেন, প্রবীণ নেতাদের এ ধরনের মন্তব্য করা উচিত নয়।
হুমায়ুন কবীর আগেও একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন এবং একাধিকবার শোকজ পেয়েছেন। একসময় দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে কংগ্রেসে যোগ দেন, পরে বিজেপি হয়ে ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন। অতীতে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করার দাবি জানিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন। এবারও তার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তার জবাবের ওপর।
এ ঘটনায় সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘শুভেন্দু ও হুমায়ুন মিলে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিচ্ছেন। দোল ও রমজান মাসের জুম্মার দিনে এ ধরনের মন্তব্য করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করা হচ্ছে।’
তিনি জানিয়েছেন, দুই নেতার বিরুদ্ধে রাজ্যের থানায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে।
- এমজে