মিশরের গাজা পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্রে লবিং

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১৫:৩৮

সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) মিশরের যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা পরিকল্পনা বাতিল করতে যুক্তরাষ্ট্রে লবিং করছে। যা আবুধাবি ও কায়রো সম্পর্কের মধ্যে বড় ধরনের ফাটলের ইঙ্গিত।
চলতি বছরের মার্চের শুরুতে মিশর যুদ্ধ শেষে গাজার রাজনৈতিক পরিবর্তন, পুনর্গঠন ও পুনরুদ্ধারের একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করে। এই পরিকল্পনার মূল বিষয়বস্তু ছিল—ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শাসন, জর্ডান ও মিশরের প্রশিক্ষিত গাজা নিরাপত্তা বাহিনী এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা।
মিশরের প্রস্তাবটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজায় মার্কিন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ও ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদের পরিকল্পনার বিকল্প হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। মিশরের এই পরিকল্পনাকে সমর্থন জানায় আরব লীগ ও ওআইসিসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ।
কিছু ইউরোপীয় দেশ মিশরের পরিকল্পনার পক্ষে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল প্রত্যাশিতভাবেই এটি প্রত্যাখ্যান করেছে।
তবে, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ আল-ওতাইবা মার্কিন আইনপ্রণেতাদের ও ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মিশরের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন যেন তারা গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ মেনে নেয়।
আরব আমিরাতের দাবি, মিশরের পরিকল্পনাটি অকার্যকর এবং এটি হামাসকে অতিরিক্ত সুবিধা দিচ্ছে। তাই আমিরাত ওয়াশিংটনের ওপর চাপ দিচ্ছে যেন তারা মিশরের সামরিক সহায়তাকে শর্তসাপেক্ষ করে, যাতে কায়রো তাদের পরিকল্পনা প্রত্যাহার করে এবং ট্রাম্পের তথাকথিত ‘রিভিয়েরা’ পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আরব লীগের পরিকল্পনায় সম্মতি দেওয়ার সময় আরব আমিরাত একা বিরোধিতা করতে পারেনি। কিন্তু এখন তারা এটি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে মিলে ধ্বংস করতে চাইছে।
মিশর প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১.৩ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা পেয়ে থাকে। যার মধ্যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল। গত দেড় মাসে ট্রাম্প প্রশাসন এই সহায়তাকে কায়রো ও জর্ডানের ওপর চাপ প্রয়োগের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের ইঙ্গিত দিয়েছে, যাতে তারা গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করতে বাধ্য হয়।
এমনকি গত সপ্তাহের এক প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র মিশরকে জানিয়েছে, যদি তারা ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদবিরোধী নীতি সংশোধন না করে, তবে তাদের সামরিক সহায়তা কমিয়ে দেওয়া হবে।
ওএফ