পাখির ডানা নাকি ড্রোন হামলা, বিমান বিধ্বস্তের কারণ কী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৪
ছবি : সংগৃহীত
মধ্য এশিয়ার দেশ কাজাখস্তানে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৮ জন নিহত হয়েছেন এবং ২৯ জন আরোহীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) কাজাখস্তানের আকতাউ শহরের কাছে উড়োজাহাটি বিধ্বস্ত হয় বলে কাজাখ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে ৬৭ জন আরোহী নিয়ে রাশিয়ায় যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এক প্রতিবেদনে এস তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা সিএনএন।
আজারবাইজান এয়ারলাইন্স বলেছে, এমব্রেয়ার ১৯০ উড়োজাহাজের জে২-৮২৪৩ ফ্লাইটটি আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ার গ্রোজনি শহরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু কাজাখস্তানের আকতাউ থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে উড়োজাহাজটি জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়।
রাশিয়ার একাধিক বার্তা সংস্থা বলেছে, চেচনিয়ার গ্রোজনি শহরে ঘন কুয়াশার কারণে উড়োজাহাজটি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স বলেছে, উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের এই ঘটনায় কারিগরি ত্রুটিসহ অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে কাজাখস্তান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান পর্যবেক্ষক সংস্থা বলেছে, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বিমানে পাখির আঘাতের পর পাইলট জরুরি অবতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
তবে বিমানটি কেন সাগর অতিক্রম করেছে সে বিষয়ে কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ব্যাখ্যা না দিলেও রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে ড্রোন হামলার পরপরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। অতীতে ড্রোন তৎপরতার কারণে ওই এলাকার বিমানবন্দরগুলো বন্ধ হয়ে গেছে এবং বুধবার সকালে বিমানটির পথের নিকটবর্তী রুশ বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কাজাখস্তানের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানে ৬২ জন যাত্রী এবং ৫ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ৩৭ জন যাত্রী ছিল আজারবাইজান, ৬ জন কাজাখস্তান, ৩ জন কিরগিজস্তান এবং ১৬ জন রাশিয়ার নাগরিক।
বিমান সংস্থাটি তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, ঘটনাটি সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য জনগণকে জানানো হবে।
ইতোমধ্যে কাজাখস্তানের পরিবহন পুলিশ বিভাগ ক্রিমিনাল কোডের অধীনে একটি প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে, আজারবাইজান এয়ারলাইনস জানিয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা বাকু থেকে গ্রোজনি এবং ডাগেস্তানের সবচেয়ে বড় শহর মাখাচকালার ফ্লাইট স্থগিত করেছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুর্ঘটনায় জড়িতদের প্রতি তার শোক প্রকাশ করেছেন এবং জানিয়েছেন যে একটি রুশ জরুরি মন্ত্রণালয়ের বিমান চিকিৎসক-কর্মী ও সরঞ্জাম নিয়ে কাজাখস্তানে যাচ্ছিল সহায়তার জন্য।
এসবি