মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৫৪
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তার মৃত্যুতে দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
দেশটির অর্থনৈতিক উদারীকরণের স্থপতি হিসেবে পরিচিত মনমোহন সিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাত দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
ঘোষণা অনুযায়ী, শুক্রবারের (২৭ ডিসেম্বর) নির্ধারিত সমস্ত সরকারি কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। একইভাবে কংগ্রেস পার্টির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসহ সকল অনুষ্ঠান আগামী সাত দিনের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার সকাল ১১টায় দিল্লির শক্তি স্থলের কাছে মনমোহন সিং-এর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে আনুষ্ঠানিক ২১ বার বন্দুকের স্যালুটসহ সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হবে। তার লাশ জাতীয় পতাকায় মুড়ে দেওয়া হবে এবং তার শেষ যাত্রায় সামরিক ব্যান্ড ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা একটি ঐতিহ্যবাহী পদযাত্রার সঙ্গী হবেন।
হাসপাতালের অফিসিয়াল একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৬ ডিসেম্বর বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর মনমোহন সিংকে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে (এইমস) ভর্তি করা হয়।
বার্ধক্যজনিত শারীরিক অসুস্থতার জন্য তার চিকিৎসা চলছিল এবং বাড়িতে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা শুরু করা হয়েছিল। পরে রাত ৮টা ৬ মিনিটে তাকে দিল্লির এইমসের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও রাত ৯টা ৫১ মিনিটে মারা যান তিনি।
কর্ণাটকের বেলাগাভিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের সময় সিং-এর মৃত্যু হয়। এই খবর পেয়েই দলের শীর্ষ নেতারা দিল্লি ছুটে যান।
উল্লেখ্য, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই ১০ বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ড. মনমোহন সিং। এর আগে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। সেই সময়েই ভারতের অর্থনীতির উদারীকরণের যে পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরসিমহা রাও, তা বাস্তবায়ন করেছিলেন অর্থনীতিবিদ মনমোহন সিং।
চলতি বছরের শুরুর দিকে রাজ্যসভা থেকে অবসর নেন মনমোহন সিং। এর আগে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন দেশের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন তিনি।
ডিআর/এমবি