চলতি বছর স্পেনে পৌঁছাতে চেয়ে দশ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে অভিবাসী অধিকার সংস্থা কামিনদাদো ফ্রন্তেরাস।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে স্পেনভিত্তিক অভিবাসী অধিকার বিষয়ক সংস্থা কামিনদাদো ফ্রন্তেরাস জানায়, এই সংখ্যা ১০ হাজার ৫৪৭জনে পৌঁছেছে। যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৫০ শতাংশেরও বেশি। 

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কামিনদাদো ফ্রন্তেরাস জানিয়েছে, আমাদের ‘রাইট টু লাইফ ২০২৪' প্রতিবেদনটি সবচেয়ে মারাত্মক সময়কে ধারণ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিনে গড়ে ৩০জন মারা যাচ্ছেন। এটি একটি রেকর্ড। মৃতদের মধ্যে অন্তত ৪২১জন নারী ও এক হাজার ৫৩৮জন শিশু বা অপ্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে। ২০২৩ সালে গড়ে প্রতিদিন এভাবে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। 

‘বাঁচার অধিকার’ প্রাধান্য পাচ্ছে না 

কামিনদাদো ফ্রন্তেরাস সাগরে নৌকাডুবি ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যুর বিষয়ে বলেছে, ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিকে উদ্ধারের দায়িত্ব ও মানুষের ‘বাঁচার অধিকারের’ বদলে অভিবাসী নিয়ন্ত্রণের দিকটি বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। 

সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা, হেলেনা মালেনো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই সংখ্যাগুলো আমাদের উদ্ধার ও সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলোর গভীর ব্যর্থতাকে তুলে ধরে। ১০ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ এক বছরে নিখোঁজ হয়েছেন, এই ট্র্যাজেডি মেনে নেওয়া যায় না।’ 

সবচেয়ে বিপজ্জনক আটলান্টিক সাগরপথ 

সাগরপথে স্পেনে পাড়ি দেওয়ার যতগুলো পথ রয়েছে, তার মধ্যে আটলান্টিক সাগরপথকে সবচেয়ে বিপজ্জনক হিসেবে উল্লেখ করেছে কামিনদাদো ফ্রন্তেরাস। এই পথে চলতি বছর মারা গেছেন নয় হাজার ৭৫৭ জন। 

মৌরিতানিয়া থেকে স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে আসার পথেও বেড়েছে মৃত্যু। বিপজ্জনক পথের তালিকায় আছে আলজেরিয়া থেকে আসা ভূমধ্যসাগরের পথটিও, যেখানে প্রাণ হারান ৫১৭জন। 

স্পেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, চলতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত, নৌকায় চেপে ৫৭ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী স্পেনে এসে পৌঁছেছেন। সংখ্যাটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে বেশিরভাগ অভিবাসনপ্রত্যাশীই এসেছেন আটলান্টিক হয়ে।

এসবি