Logo

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের যৌন নির্যাতন মামলার রায় বহাল

Icon

নিউইয়র্ক প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৯

ট্রাম্পের যৌন নির্যাতন মামলার রায় বহাল

ছবি : সংগৃহীত

নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন মামলার জুরি রায় বহাল রেখেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আপিল আদালতের একটি বিচারক প্যানেল।

স্থানীয় সময় সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় সার্কিট আপিল আদালতের তিন বিচারকের প্যানেল এ রায় দেন। একই সঙ্গে ই. জিন ক্যারলকে ৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারকগণ।

প্যানেল তাদের অস্বাক্ষরিত মতামতে লিখেছেন 'বিচারের অপব্যবহার পর্যালোচনার ভিত্তিতে, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, জেলা আদালত কোনো ক্ষেত্রে ভুল করেছে তা ট্রাম্প দেখাতে পারেননি।' 

প্রসঙ্গত, নিউইয়র্কের একটি জুরি গত বছর রায় দিয়েছিল যে ট্রাম্প ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি ম্যানহাটনের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ড্রেসিং রুমে ক্যারলকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন এবং তার অভিযোগ অস্বীকার করে তার মানহানি করেছেন। 

একটি পৃথক মামলায় জুরি ট্রাম্পকে ৮৩.৩ মিলিয়ন ডলার মানহানি ক্ষতিপূরণ ক্যারলকে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও ট্রাম্প সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করছেন। 

জিন ক্যারলের আইনজীবী রবি ক্যাপলান এক বিবৃতিতে বলেন, আমি আজকের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট। আমরা দ্বিতীয় সার্কিট আদালতের পক্ষগুলোর যুক্তি সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য কৃতজ্ঞ। 

এদিকে জুরির রায় চ্যালেঞ্জ করতে প্রতিজ্ঞ ট্রাম্প। তিনি এখন সমগ্র আপিল আদালতের কাছে সোমবারের রায় পর্যালোচনার জন্য অনুরোধ করতে পারেন বা বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে তুলতে পারেন। 

ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চিউং এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'আমেরিকান জনগণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পুনর্নির্বাচিত করেছে এবং তারা আমাদের বিচার ব্যবস্থার রাজনৈতিক অস্ত্রায়ন বন্ধ করার দাবি জানায়। ডেমোক্র্যাট-অর্থায়িত ক্যারল প্রতারণাসহ সব তদন্ত দ্রুত খারিজ হওয়া উচিত।' 

ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে, জুরি ভুল সাক্ষ্য শুনেছে এবং তাকে ক্যারলকে নির্দিষ্ট প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে প্যানেল এসব যুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, দুটি নারীর সাক্ষ্য এবং 'অ্যাকসেস হলিউড' টেপ যেখানে ট্রাম্প নারীদের সম্মতি ছাড়াই তাদের স্পর্শ করার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। এই প্রমাণ যথেষ্ট ছিল।

এর আগে জেসিকা লিডস সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে ১৯৭৮ বা ১৯৭৯ সালে একটি বিমানে ট্রাম্প তাকে চুমু খেয়েছিলেন এবং স্পর্শ করেছিলেন। আরেক নারী, নাতাশা স্টয়নফ জানান, একটি ম্যাগাজিন প্রতিবেদনের সময় ট্রাম্প তাকে দেওয়ালে ঠেলে চুমু খেয়েছিলেন। 

প্যানেল উল্লেখ করেছে, এই সাক্ষ্য ও টেপ থেকে জুরি যুক্তিসঙ্গতভাবে অনুমান করতে পারে যে ট্রাম্প অন্যান্য নারীদের সঙ্গে একই ধরনের আচরণ করেছেন যা আকস্মিক, অসম্মতিপূর্ণ এবং শারীরিকভাবে আক্রমণাত্মক।

ট্রাম্প বারবার ক্যারলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তার চেহারা নিয়ে আক্রমণ করেছেন। তবে এই মামলাগুলো ট্রাম্পের আইনি লড়াইয়ে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।

কেই/এসবি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর