২০২৪
ইউরোপ জুড়ে উত্তেজনা, সমস্যা কেবল শুরু
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:২১
বিশ্বজুড়ে প্রতিটি বিভিন্ন পরিবর্তন, উত্তেজনা ও চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে শেষ হতে চলেছে ২০২৪ সাল। চলতি বছরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দ্বন্দ্ব-সংঘাত, রাজনৈতিক অস্থিরতা, পরিবেশগত বিপর্যয় এবং অর্থনৈতিক সংকট সমান্তরালভাবে চলেছে। ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি হয়েছে বিশ্ববাসী।
বছরের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে, বিশ্বে চলমান যুদ্ধগুলোর পরিণতি এবং তার প্রভাব গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘাতের তীব্রতা এখনও কমেনি, বরং তা নতুন মাত্রা নিয়েছে। আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের।
প্রথম পর্বে মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশে যুদ্ধ চলছে তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে থাকছে এশিয়ার দূরপ্রাচ্য ও ভারতীয় উপমহাদেশের অবস্থা। আর শেষ পর্বে থাকছে ইউরোপের যুদ্ধ ও সংঘাত সংক্রান্ত সর্বশেষ অবস্থা।
ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনে মধ্যে যুদ্ধ এখনও চলছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার নৃশংস আক্রমণ এবং পশ্চিমা শক্তির সমর্থনে ইউক্রেনের প্রতিরোধ বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সংঘাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর পেছনে মূল কারণ ছিল ইউক্রেনের পশ্চিমমুখী পররাষ্ট্রনীতি এবং ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে যোগসূত্র স্থাপনের চেষ্টার প্রতি রাশিয়ার উদ্বেগ।
আরও পড়ুন>> ২০২৪ : এশিয়ার দেশে দেশে যুদ্ধ
এর আগে ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করে এবং পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার সমর্থনে বিদ্রোহী গোষ্ঠী তৈরি হলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। পরবর্তীতে ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের ‘ডিনাজিফিকেশন’ এবং ‘ডিমিলিটারাইজেশন’ দাবি করে আক্রমণ শুরু করে। ইউক্রেনের জনগণ এবং সামরিক বাহিনী নিজেদের স্বাধীনতা রক্ষায় সংগ্রাম করছে। পশ্চিমা দেশগুলো তাদের সহায়তা দিচ্ছে, যার ফলে যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ছে।
বছরের শেষ দিনে সংযুক্ত আরব-আমিরাতের হস্তক্ষেপে ৩০০ যুদ্ধবন্দি বিনিময় করেছে ইউক্রেন ও রাশিয়া। রাশিয়ার কবল থেকে ইউক্রেনীয় বন্দিদের ফিরে আসাকে সুসংবাদ বলে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। প্রায় তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া- চারটি প্রদেশের আংশিক দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী।
এদিকে ক্ষমতা ছাড়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে আবারও ২৫০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। বাইডেন প্রশাসনের বিদায়ী বেলায় ইউক্রেনের জন্য বর্ধিত সাহায্যের অংশ হিসেবে এই সহায়তার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আগামী জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। এর আগেই ইউরোপের যুদ্ধ বিধ্বস্ত এই দেশটিতে সহায়তা পাঠাতে ব্যাপক উদ্যোগী হয়েছেন বাইডেন।
দ্বিতীয় দফায় নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণের মাত্রা ও স্তর নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আর এতে করে ইউক্রেনের নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে যে, আগামীতে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এই সাহায্যই ইউক্রেনের জন্য শেষ মার্কিনী সাহায্য হতে পারে।
এদিকে পুতিন সরকারের প্রতি ট্রাম্পের পক্ষপাতিত্ব রুশ-ইউক্রেন সংকটকে আরও বাড়িয়ে পৃথিবীর রুটির ঝুড়িকে শূন্য করে তুলবে নাকি ঝুড়ি পুনরায় ভরে তুলতে সাহায্য করবে তা জানা যাবে আগামী ২০ জানুয়ারির পরেই।
এই যুদ্ধটি শুধু দুই দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি সমগ্র ইউরোপ এবং পৃথিবীজুড়ে শক্তির ভারসাম্য এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রভাবিত করেছে। ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ইউক্রেনের শহরগুলোতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং মানবিক সংকট সৃষ্টির ফলে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ফলে ইউরোপসহ সারা বিশ্বে অস্থিরতা, খাদ্য সংকট, অর্থনৈতিক সংকটসহ শরণার্থী সঙ্কট বাড়ছে।
ইউরোপে যুদ্ধের শঙ্কা
ফিনল্যান্ড, সুইডেন ও নরওয়ে তাদের নাগরিকদের জন্য প্রস্তুতি নির্দেশিকা হালনাগাদ করে তা নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে৷ ফিনল্যান্ড নির্দেশিকার ডিজিটাল কপি প্রকাশ করেছে৷ নরওয়ে ও সুইডেন বাসাবাড়িতে নির্দেশাবলীর ছাপা কপি পাঠাচ্ছে৷
আরও পড়ুন>> মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা জুড়ে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা
ফিনল্যান্ডের নির্দেশিকার শিরোনাম দেয়া হয়েছে ‘ঘটনা এবং সংকটের জন্য প্রস্তুতি'৷ নরওয়ের নির্দেশিকার শিরোনাম ‘কীভাবে আপনি নরওয়ের জরুরি প্রস্তুতিতে নিজের ভূমিকা পালন করতে পারেন৷’
অন্যদিকে সুইডেনের নির্দেশিকার শিরোনামে সংঘাতের আশঙ্কার উপর জোর দেয়া হয়েছে৷ ‘সংকট বা যুদ্ধের ক্ষেত্রে’ শিরোনামের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিশ্বের নানা প্রান্তে যখন সশস্ত্র সংঘাত চলছে, এমন অনিশ্চিত সময়ে সন্ত্রাসবাদ, সাইবার আক্রমণ এবং বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার মাধ্যমে সুইডেনকে দুর্বল ও প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷
সুইডেনের নির্দেশিকায় আরো বলা হয়েছে, ‘আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধভাবে এই হুমকিগুলো মোকাবিলা করতে হবে, সুইডেন আক্রান্ত হলে প্রত্যেককে অবশ্যই সুইডেনের স্বাধীনতা এবং আমাদের গণতন্ত্র রক্ষার জন্য ভূমিকা পালন করতে হবে।’
সুইডিশ সিভিল কন্টিনজেন্সি এজেন্সির মহাপরিচালক মিকায়েল ফ্রিসেল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, দেশের জাতীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে এবং বিভিন্ন সংকট ও যুদ্ধের সময়ে প্রতিরোধ জোরদার করতে হবে৷ সুইডেন ২০১০ সালে বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণের নিয়ম স্থগিত করেছিল৷ কিন্তু ২০১৭ সালে তা আবার চালু করা হয়েছে৷ ফিনল্যান্ড এবং নরওয়েতে কয়েক দশক ধরে বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ চালু রয়েছে৷
নাগোর্নো-কারাবাখ সংকট
২০২০ সালের পর থেকে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সীমান্তে নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের মালিকানা নিয়ে উত্তেজনা কমেনি। চলতি বছর দুই দেশের মধ্যে আবারও সীমান্ত সংঘর্ষের খবর এসেছে, যেখানে যুদ্ধের পরিণতি এখনও স্পষ্ট নয়। কেননা, আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান উভয়ই এখনও এই অঞ্চলের উপর নিজেদের দাবি অটুট রেখেছে।
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে গত কয়েক দশক ধরেই নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের উপর দ্বন্দ্ব চলছে। ২০২০ সালের যুদ্ধের পর শান্তিচুক্তি হলেও উত্তেজনা এখনও কমেনি এবং অঞ্চলটি মাঝে মাঝে সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে।
শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক মহল এই পরিস্থিতি সমাধানের জন্য কাজ করে চলেছে। পরিস্থিতি সাময়িকভাবে সামাল দেওয়া হলেও স্থায়ী কোনো সমাধান এখনো সম্ভব হয়নি।
ইউরোপে কট্টরপন্থীদের উত্থান
নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে ২০২৪ সাল ছিল একটি বড় নির্বাচনী বছর। এবছর বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, বুলগেরিয়া, ভারত, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্র এছাড়া ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনও ছিল। বিশ্বজুড়ে এসব নির্বাচনে ডানপন্থী শক্তিগুলো রাজনীতির মূলধারায় আরও শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে। ভোটের সময় সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন, টিকটক আরও বেশি প্রভাব ফেলছে। এমনকি এর প্রভাবে নির্বাচনী প্রচারণাও বদলে যাচ্ছে।
ইউরোপে কট্টরপন্থীরা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, যা বেশিরভাগ নির্বাচনেই স্পষ্টভাবে দেখা গেছে। কিছু দেশে এ দলগুলো ক্ষমতায় এসেছে আবার, অন্য কিছু দেশে তারা সরকারগুলোর ওপর বড় ধরনের প্রভাব তৈরি করেছে।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির ডানপন্থী ‘ইউরোপীয় কনজারভেটিভস অ্যান্ড রিফর্মিস্টস’ দল গত জুন মাসের ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে শক্তিশালী দল হিসেবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করেছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আচমকা নির্বাচন ডাকার সিদ্ধান্ত দেশটিকে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলায় ফেলেছিল।
আরো চমকপ্রদ বিষয় হচ্ছে, ডানপন্থী দলগুলোর এই সফলতায় অন্যান্যদের যে পুরোনো, হিংসাত্মক মনোভাব ছিল তা পরিবর্তিত হয়েছে। তাছাড়া, এবারের নির্বাচনী জরিপ, এক্সিট পোল ও পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে যে, তরুণ ভোটাররা ক্রমবর্ধমান হারে ডানপন্থী দলগুলোর সমর্থক হয়ে উঠছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ইইউ-তে ফ্রান্সের ভূমিকা দুর্বল হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। জার্মানিতেও জোট সরকারের পতন হওয়ায় সামনের ফেব্রুয়ারিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। শীর্ষ এই দুই দেশের অস্থিরতা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) প্রভাবিত করবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়াকে কীভাবে ঠেকানো যায় সেটাই হতে পারে মূল বিষয়।
ইউরোপের সমস্যা কেবল শুরু
এখানেই শেষ নয় ইউরোপের সমস্যা। বলা যায় কেবল শুরু। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মতে, ২০২৫ সালের দিকে নতুন কিছু উদ্বেগ আসতে চলেছে। হতাশাজনক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, প্রতিযোগিতায় সংকট ও শিল্প খাতের বিপদজনক পরিস্থিতির মধ্যে আছে। ইউরোপের এখন সবচেয়ে বেশি যা প্রয়োজন তা হলো- বাণিজ্য যুদ্ধ থেকে শত হাত দূরে অবস্থান করা।
কিন্তু সম্ভবত ঠিক সেটাই তাদের সামনে আসতে পারে। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ থেকে সকল পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। ইউরোপ এরই এর সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আশঙ্কায় আছে।
এটি ইউরোপের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। কারণ তাদের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সহযোগী যুক্তরাষ্ট্র। আর দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক সহযোগী ও সবচেয়ে বড় আমদানিকারক দেশ চীন। এই দুই দেশের মধ্যে বিরোধ মোকাবিলা করা কঠিন হবে।
বিদায়ী ২০২৪ সাল বৈশ্বিক সংঘাতের জন্য ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হতে চলেছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক শান্তির প্রচেষ্টা এবং মানবিক সংকটের প্রতি মানুষের সহানুভূতি আরও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
বিশ্বজুড়ে চলমান সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি বছরের শেষে, পুরো পৃথিবীই যেন একটিমাত্র প্রশ্নের মুখোমুখি, কবে থামবে এই যুদ্ধের আগুন? বৈশ্বিক নেতারা শান্তির পথে অগ্রসর হতে কি সক্ষম হবেন, নাকি মানবতা আরও একটি বছরের সংঘাতের দিকে ধাবিত হবে?
রাত পোহালেই আসছে ২০২৫ সাল। পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের আগমনীতে নতুন আশায় বুক বাঁধবে পৃথিবী। প্রশ্ন থেকেই যায়, পুরোনো বছরের সাথে পুরোনো সংঘাতও কি বিদায় নেবে? নাকি থেকে যাবে বা ফিরে আসবে? প্রশ্নের উত্তর অমীমাংসিত এবং সমাধান কীভাবে আসবে, তা হয়তো ভবিষ্যৎই বলে দেবে।
এসবি/ওএফ