চীনে নতুন ভাইরাস আতঙ্ক, করোনার পর আবার কোন মহামারি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:০০
ছবি : সংগৃহীত
ফের নতুন ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে চীনে। এবার যে ভাইরাসের হদিস মিলেছে তার নাম জুনোটিক ল্যাঙ্গিয়া। ইতিমধ্যেই চীনের ৩৫ জন বাসিন্দা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
তাইওয়ানের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) জানিয়েছে তাইপেই-তে একটি নিউক্লিক অ্যাসিড টেস্টিং মেথড বা পদ্ধতি চালু করা হবে যার মাধ্যমে এই ভাইরাসকে মনিটর করা যায়। এই পদ্ধতিতে ভাইরাস খুঁজে বের করে তার প্রসার বা গতিবিধির উপর নজর রাখা হবে।
২০১৯ এর শেষে যখন করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন কেউ ভাবতেও পারেনি যে একের পর এক ঢেউয়ের মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে তছনছ করে দেবে কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাস। লাগামছাড়া সংক্রমণ, অক্সিজেনের জন্য হাহাকার এবং মৃত্যুর মিছিল-এই সব ঘটনার ক্ষত আজও স্পষ্ট। এখন ফের চিনে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন এক ভাইরাসের আতঙ্ক, যার ফলে বিশ্ববাসীর মধ্যে আবারও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
চীনে বর্তমানে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) সহ একাধিক ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে শিশু এবং কিশোররা এই ভাইরাসের শিকার হচ্ছে। এর ফলস্বরূপ হাসপাতালে ভিড় জমছে এবং নতুন একটি সংক্রমণ ‘হোয়াইট লাংস’ হিসেবে পরিচিত হচ্ছে। যদিও এই ভাইরাসের ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে সোশ্যাল মিডিয়া এবং ভাইরাল ভিডিওগুলি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, চিনের হাসপাতালগুলোতে মানুষের দীর্ঘ লাইন, মুখে মাস্ক এবং আতঙ্কিত অবস্থা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের প্রশাসন নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাবের কারণ অনুসন্ধান করছে। শীতকালীন সময়ে ফুসফুসের সমস্যা এবং শ্বাসকষ্ট সাধারণত বেড়ে যায়, তাই এই ভাইরাসগুলির দাপটও শীতে বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, ‘এসআরএস-কোভ-২ বা কোভিড-১৯ নামে এক্সের (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, চীনে ইনফ্লুয়েন্জা এ, এইচএমভি, মাইকোপ্লাজমা পিনিমোনিয়া এবং কোভিড-১৯ সহ একাধিক ভাইরাস লক্ষণীয় হারে ছড়াচ্ছে। এর ফলস্বরূপ হাসপাতালগুলিতে প্রচুর ভিড় দেখা যাচ্ছে, আর নিউমোনিয়ার মতো রোগও বেড়ে গেছে।
এমআই