Logo
Logo

আন্তর্জাতিক

তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত বেড়ে ৯৫

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:১১

তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত বেড়ে ৯৫

ছবি : সংগৃহীত

চীনের তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ৯৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৩০ জন। হিমালয়ের উত্তর পাদদেশে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৮। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে প্রতিবেশী নেপাল, ভুটান ও ভারতে বেশ ভালোভাবেই অনুভূত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে হিমালয়ের পাদদেশে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষ হতাহত হয়েছেন। স্থানীয় চীনা মিডিয়া তিব্বতের শিগাৎসে শহর ও এর আশপাশে কমপক্ষে ৯৫ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া ডিংরি কাউন্টির চাংসুও, কুলুও ও কুওগুও শহরগুলোর তালিকা করে বলেছে, ‘স্বায়ত্তশাসিত তিব্বত অঞ্চলের ভূমিকম্প ব্যুরো থেকে একজন প্রতিবেদক জানতে পেরেছেন, ভূমিকম্পে মানুষ মারা গেছেন।’ 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থলের গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার (৬ দশমিক ২ মাইল)। কিন্তু ভূমিকম্পের পূর্বের তীব্রতা ৬ দশমিক ৯ থেকে সংশোধন করা হয়েছে। 

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ১ বলে জানিয়েছে। 

সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার রিপোর্টার আরও বলেছেন, সকাল ১০টা নাগাদ একাধিক আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে তীব্র আফটার শকের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪। 

চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সিসিটিভি জানিয়েছে, ‘ডিংরি কাউন্টি ও এর আশপাশের এলাকায় খুব শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে এবং ভূমিকেন্দ্রের কাছাকাছি অনেক ভবন ধসে পড়েছে।’ 

সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, উদ্ধার কাজের জন্য এক হাজার ৫০০ এরও বেশি স্থানীয় দমকলকর্মী এবং উদ্ধারকর্মীকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাঠানো হয়েছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সকল প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে। আক্রান্তদের সঠিকভাবে পুনর্বাসন করতে হবে।

ভূমিকম্পটি নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার (২৫০ মাইল) দূরে অনুভূত হয়েছে। সেখানে অনেকেই তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে নিরাপদ স্থানে চলে যান। ওই এলাকায় এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের গুরুতর ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ভারতের বিহার রাজ্যের উত্তরাংশেও ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে, তবে সেখানে কোনো ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত প্রায়ই ভূমিকম্প ঘটে। তবে এবারের ভূমিকম্পটিকে গত পাঁচ বছরে ২০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প বলে ধরা হচ্ছে। এর আগে ২০১৫ সালে নেপালে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৯ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।

এসবি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর