Logo

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েল-হামাস বন্দি বিনিময় চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:৪০

ইসরায়েল-হামাস বন্দি বিনিময় চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত

ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বন্দি বিনিময় চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে শনিবার (১১ জানুয়ারি) জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম। রাজনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরোনোথ জানিয়েছে, ৯০ শতাংশ বিষয়ে একমত হওয়া সম্ভব হয়েছে।

রোববার (১২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস বা মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র কেউই চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে আনুষ্ঠানিক কোন বিবৃতি দেয়নি।

চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নের বিষয়ে ইসরায়েলের কাছ থেকে হামাসের গ্যারান্টি দাবি করাকে মতবিরোধের মূল বিষয় বলা হচ্ছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের প্রথম ধাপ বাস্তবায়ন করার পর ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রাখবে বলে উদ্বিগ্ন হামাস।

যদিও সম্ভাব্য চুক্তির প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের সঠিক বিবরণ পুরোপুরি প্রকাশ করা হয়নি তবুও সংবাদপত্র থেকে পাওয়া সূত্র অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে মানবিক কারণে বয়স্ক ও অসুস্থ বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হতে পারে, দ্বিতীয় পর্যায়ে সামরিক কর্মীদের মুক্তি দেওয়া হতে পারে।

আলোচনায় অগ্রগতির পর যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধি স্টিভেন উইটকফ শনিবার হঠাৎ করেই ইসরায়েল সফর করেছেন বলে জানা গেছে। সফরে তিনি নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।

মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভেন উইটকফ নেতানিয়াহুর প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তারা বিশ্বাস করেন শিগগিরই একটি চুক্তিতে পৌঁছানো যাবে।

তিনি আরও বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী বিনিময় চুক্তির প্রধান বাধা হল, ট্রাম্পের ২০ শে জানুয়ারির অভিষেকের কারণে মার্কিন প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে হামাসের সংশয়।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কেএএন বিদেশি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে যে, তেল আবিব চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের বিষয়ে আলোচনা এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। যেন প্রথম ধাপ বাস্তবায়নের সময় সমস্ত বন্দীকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত প্রক্রিয়াটি অব্যাহত থাকে।

নেতানিয়াহুর আরোপিত নতুন শর্তের কারণে কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় বন্দি বিনিময় ও যুদ্ধবিরতি আলোচনা বেশ কয়েকবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি সামরিক হামলা বিরতিহীনভাবে অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা গাজার কিছু অংশ দখল, বাফার জোন তৈরি এবং ছিটমহলে নতুন অবৈধ বসতি স্থাপনের বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। অন্যদিকে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি, গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং হামলা পুরোপুরি বন্ধ চায় হামাস।

এদিকে বিরোধী গোষ্ঠী ও বন্দিদের পরিবারের অভিযোগ, নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তিতে বাধা দিচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ৪৬ হাজার ৫০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব জানিয়ে জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিলের আহ্বান গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

ইতোমধ্যে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে  গাজায় গণহত্যার মামলা এবং যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গত নভেম্বরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

এসবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর