অবশেষে দ.কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার
![Icon](https://www.bangladesherkhabor.net/uploads/settings/ezgif-7-c58f72a6c2icon-2-1730277221.png)
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫১
![অবশেষে দ.কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার](https://www.bangladesherkhabor.net/uploads/news_photos/2025/01/15/597-1735719070-6785edb7ed9ad[1]-67875c24c2c3f.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।স্থানীয় সময় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ভোরবেলা রাজধানী সিউলে ইউনের ব্যক্তিগত বাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও আল-জাজিরা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সিউলের পাহাড়ি এলাকার ওই বাসভবনে বসবাস করছিলেন ইউন। বাড়িটির চারদিক কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরা ছিল এবং তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য বাড়ির বাইরে ছিল সশস্ত্র বাহিনীর একটি ছোট দল।
মঙ্গলবার রাতে প্রায় ৩০০ পুলিশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার দুর্নীতি দমন সংস্থার তদন্তকারীদের একটি দল ইউনের বাসভবনের বাইরে অবস্থান নেয়। তারপর ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করে মূল শহর অভিমুখে রওনা হয়।
গ্রেপ্তারের পর পূর্ব রেকর্ডকৃত ভিডিও বার্তায় ইউন বলেন, রক্তপাত এড়াতে সামরিক আইন ব্যর্থ হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি দুর্নীতি তদন্ত অফিসকে জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি জানান, তিনি তদন্তের বৈধতা স্বীকার করেন না তবে দুর্ভাগ্যজনক রক্তপাত রোধে তা মেনে চলছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমর্থকসহ হাজার হাজার মানুষ ইউনের বাড়ির বাইরে জড়ো হয়েছিল। ক্ষমতাসীন পিপলস পাওয়ার পার্টির একদল আইনপ্রণেতা এবং ইউনের আইনজীবীরাও আবাসিক কম্পাউন্ডের ভিতরে গ্রেপ্তার রোধ করার চেষ্টা করেছিলেন।
গ্রেপ্তারের পর ইউনের গাড়িবহরকে পুলিশ এসকর্ট নিয়ে তার পাহাড়ের বাসভবন থেকে বের হতে দেখা যায়। পরে ইউনকে বহনকারী একটি গাড়ি নিকটবর্তী শহর গোয়াচেয়নের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্ত অফিসে পৌঁছায়।
গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারির অভিযোগে অভিশংসন বিচারের প্রথম শুনানিতে হাজির না হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর প্রেসিডেন্টের বাসভবনে এই অচলাবস্থা দেখা দেয়।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইউনের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এই গ্রেপ্তার অবৈধ এবং ইউনকে জনসমক্ষে হেয় করার জন্যই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে ইউন সুক ইওলই প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি অভিশংসন ও গ্রেপ্তার পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন।
এসবি