ওয়াশিংটনে বিমান ও হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ, বহু হতাহতের আশঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৪
-679af8117eb7f.jpg)
ওয়াশিংটন ডিসিতে মাঝআকাশে যাত্রীবাহী একটি বিমান ও সামরিক হেলিকপ্টারের ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রোনাল্ড রিগান ওয়াশিংটন জাতীয় বিমানবন্দরে সব ধরনের বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন প্রশাসন (এফএএ) জানিয়েছে, পিএসএ এয়ারলাইন্সের বোম্বারডিয়ার সিআরজে-৭০০ মডেলের একটি বিমান উইচিটা, কানসাস থেকে উড্ডয়ন করছিল। এ সময় সিকোরস্কি ইউএইচ-৬০ ব্ল্যাক হক সামরিক হেলিকপ্টারের সঙ্গে এটির সংঘর্ষ হয়।
দুর্ঘটনার পরপরই পটোম্যাক নদীতে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। দমকল ও পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক ফায়ারবোট ও উদ্ধারকারী বাহিনী কাজ করছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, সংঘর্ষের পর উভয় বিমানেই আগুন ধরে যায় এবং বিশাল বিস্ফোরণের সৃষ্টি হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের সংখ্যা বা বিমানে থাকা যাত্রীদের অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। উদ্ধারে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।
আল জাজিরার প্রতিবেদক শিহাব রতনসি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক জরুরি সেবা কর্মী, অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকারী নৌযান মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “রিগান বিমানবন্দর ওয়াশিংটনের অন্যতম প্রধান বিমানবন্দর। আমরা ধারণা করছি, উভয় বিমানই পটোম্যাক নদীতে পড়েছে। এখন সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো, ভেতরে থাকা আরোহীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে।”
বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানটিতে ৬০ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু ছিলেন। আমেরিকান এয়ারলাইন্স এক বিবৃতিতে বিমানে থাকা যাত্রী এবং ক্রুদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এফএএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ঘটনার তদন্ত করবে ফেডারেল এভিয়েশন প্রশাসন (এফএএ) এবং জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড (এনটিএসবি)। এনটিএসবি তদন্তের নেতৃত্ব দেবে।”