সাবেক খাদ্য সচিব ইসমাইল দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার
আদালত প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:১৭
ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ইসমাইল হোসেনকে।
দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) অবকাশকালীন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. ইব্রাহিম মিয়া গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ইসমাঈল হোসেন দায়িত্ব পালনকালে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে ঘুষ, বদলি, পদোন্নতি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। দুদকের মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে ইসমাইল হোসেনকে আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।
আদালতে শুনানিতে তিনি বলেন, তদন্তকালে জানা গেছে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের মানিলন্ডারিং সম্পৃক্ত অপরাধ ‘ঘুষ ও দুর্নীতি সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার ক্ষেত্রে ইসমাইল অন্যতম সহযোগী ছিলেন।
শুনানি উপলক্ষে সাবেক এই সচিবকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
দুদকের অনুমোদনের পর গত ১৯ ডিসেম্বর সাধন চন্দ্র মজুমদারের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাংক হিসাবে ৪৩ কোটি ৪ লাখ ৪৭ হাজার ১৭৫ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের সহকারি পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
এজাহারে বলা হয়, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের নামে ২৫ কোটি ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া নিজে ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ৬৫টি হিসাবে মোট ৪৩ কোটি ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৭৫ টাকা লেনদেন করেন। এসবের মধ্যে ২৩ কোটি ৪৬ লাখ ৯৫ হাজার ২৫৭ টাকা জমা রেখেছেন ও ১৯ কোটি ৫৭ লাখ ৫২ হাজার ১১৮ উত্তোলন করেছেন। বর্তমানে এসব ব্যাংক হিসাবে ৩ কোটি ৯৬ লাখ ২৯ হাজার ৯৭০ টাকা আছে। তার এই বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেন সন্দেহজনক।
অর্পিত দায়িত্ব পালনকালে আসামি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর)রাতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার উদ্দেশ্যে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে ইসমাইলকে আটক করা হয়। পরেরদিন বিমানবন্দর থানার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড চাইলে দুইদিন রিমান্ডে পাঠানো হয়। রিমান্ড শেষে গত সোমবার তাকে কারাগার পাঠানো হয়।
তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (প্রশাসন) ১১তম ব্যাচের সদস্য।
জেইউ/এমএইচএস