শেখ হাসিনার ‘দুর্নীতি’ অনুসন্ধানে নথি চেয়েছে দুদক
আদালত প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:১৭
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশেষ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নথি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত আটটি প্রকল্পে ‘২১ হাজার কোটি টাকা লোপাটের’ অভিযোগ রয়েছে।
প্রকল্পগুলো হচ্ছে- মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২, মিরসরাই বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল, প্রথম পর্যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের পানি শোধনাগার ও গভীর নলকূপ স্থাপন, বঙ্গবন্ধু শেখ শিল্পনগরে দুটি মডার্ন ফায়ার স্টেশন স্থাপন, মিরসরাইয়ে ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর উন্নয়ন প্রকল্প।
এসব প্রকল্পের প্রস্তাব বা প্রাক্কলন, অনুমোদিত প্রস্তাব বা প্রাক্কলন, বাজেট অনুমোদন, বরাদ্দ, অর্থ ছাড়করণ, ব্যয় অর্থের পরিমাণ ও এই সংক্রান্ত যাবতীয় নথিসহ এসব প্রকল্প নিয়ে কোন তদন্ত হয়ে থাকলে প্রতিবেদন ও প্রকল্পগুলোর সারসংক্ষেপের কপি চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চিঠি পাঠানোর বিষয়টি গণমাধ্যম জানিয়েছেন সংস্থার উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বোন শেখ রেহানা ও তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। পরদিন সংস্থাটির উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি দলকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
পাঁচ সদস্যের এ দল আওয়ামী লীগ সরকারের বিশেষ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত আটটি প্রকল্পে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ২১ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করবে। একই দল অনুসন্ধান করবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ৫৯ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগটি।
হাইকোর্টের রুল জারির দুই দিন পর দুদকের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
অনুসন্ধানী দল গঠনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এ বিষয়ে কমিশনের অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্তের পর পরবর্তী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এ দল গঠন করা হয়েছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ‘গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের অভিযোগে হাসিনা, রেহানা ও জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যার অভিযোগে এখন পর্যন্ত দায়ের হওয়া অন্তত দেড় ডজন মামলার প্রধান আসামি শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
জেইউ/এমএইচএস