
চুল পড়ার সমস্যার জন্য অযত্ন যেমন দায়ী, তেমনি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বা দেহের অন্যান্য শারীরিক অবস্থা থেকেও চুল পড়তে পারে। অনেক সময় চুলের যত্ন নিলেও যদি দেহে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব বা হরমোনাল ইমব্যালান্স থাকে, তাহলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে।
হরমোনের ইমব্যালান্স এবং চুল পড়া
গর্ভাবস্থা ও মেনোপজ : গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলাই হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। মেনোপজের সময়ও একই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ এই সময় মহিলাদের দেহে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরনের মাত্রা কমে যায়। যা চুলের বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে এবং চুল পাতলা হয়ে যেতে পারে।
পুরুষ হরমোন : মহিলাদের দেহে যদি টেস্টোস্টেরন বা অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় বা কমে যায়, তবে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। বিশেষ করে, পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS) আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
থাইরয়েডের সমস্যা : হাইপারথাইরয়েডিজম বা হাইপোথাইরয়েডিজমের কারণে থাইরয়েড হরমোনের ব্যালান্স ঠিক না থাকলে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। কারণ থাইরয়েড হরমোন চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মানসিক চাপ : অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে দেহে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা চুলের ক্ষতি এবং অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
ডায়াবিটিস : ডায়াবিটিস রোগীদের মধ্যে ইনসুলিন হরমোনের সমস্যার কারণে চুল পড়া বাড়ে। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে বা ইনসুলিন হরমোন ঠিকমতো কাজ না করলে চুলের স্বাস্থ্যেও তার প্রভাব পড়ে।
এই সব হরমোনাল সমস্যা চুলের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই শুধু বাহ্যিক যত্ন নিলেই হবে না, শরীরের অভ্যন্তরীণ অবস্থা ঠিক রাখাও প্রয়োজন।
- এমজে