Logo

লাইফস্টাইল

দোলের রঙে যেন ক্ষতি না হয় শিশুর, কিছু পরামর্শ

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:১৪

দোলের রঙে যেন ক্ষতি না হয় শিশুর, কিছু পরামর্শ

দোল পূর্ণিমার উৎসবে রং খেলার আনন্দ উপভোগ করে ছোটরা। তবে আনন্দের মাঝেও অভিভাবকদের কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি, যাতে শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বজায় থাকে। রাসায়নিকযুক্ত রঙের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শুরু করে শারীরিক আঘাত এড়াতে অভিভাবকদের কিছু বিশেষ পরামর্শ মেনে চলা উচিত।

বাজারে প্রচলিত রঙে রাসায়নিকের পরিমাণ বেশি থাকে, যা শিশুদের ত্বকে অ্যালার্জি বা সংবেদনশীলতা বাড়াতে পারে। শিশুদের জন্য ঘরোয়া উপায়ে তৈরি প্রাকৃতিক রঙ বা কম রাসায়নিকযুক্ত আবির ব্যবহার করাই নিরাপদ। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাঁচ থেকে দশ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে রঙ ব্যবহারের সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

শিশুরা সাধারণত রঙিন জল ভর্তি পিচকারি ও বেলুন দিয়ে খেলতে ভালোবাসে। তবে এ ধরনের খেলায় অসাবধানতার কারণে চোখ, নাক, ও মুখে রং ঢুকে যেতে পারে, যা ক্ষতির কারণ হতে পারে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, শিশুদের ক্ষেত্রে বেলুন ছোড়াছুড়ি একেবারেই এড়ানো উচিত।

দোলের রঙে চোখের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। রাসায়নিকযুক্ত রং চোখে গেলে জ্বালা করা, অন্ধকার দেখার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে শিশুদের জন্য রাসায়নিকমুক্ত ভেষজ আবির ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

শিশুর যদি ডাস্ট অ্যালার্জি, কোল্ড অ্যালার্জি, বা হাঁপানির সমস্যা থাকে, তবে তাকে রং না খেলার পরামর্শ দেওয়া উচিত। আবির বা জলরঙ চোখে-নাকে গেলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুর ত্বকের সংবেদনশীলতা থাকলে কেবল সামান্য পরিমাণ আবির ব্যবহার করা যেতে পারে।

অভিভাবকদের করণীয়
১) ফুলহাতা জামা ও লম্বা প্যান্ট পরিয়ে শিশুকে রং খেলতে পাঠানো উচিত।

২) চোখে রং ঢুকে গেলে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিতে হবে এবং চোখ কচলানো যাবে না।

৩) রং খেলার আগে নারকেল তেল বা ময়েশ্চারাইজার মেখে দিলে রং সহজে উঠবে।

৪) রং তোলার জন্য বেশি ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার না করে শিশুর ত্বকের জন্য উপযোগী ক্লিনজার ব্যবহার করা উচিত।

৫) দীর্ঘক্ষণ রোদে রং খেলার ফলে জলশূন্যতা হতে পারে, তাই পর্যাপ্ত জল ও তরল খাবার খাওয়ানোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।

  • এমজে
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর