-67fa45d004ec2.jpg)
ত্বকের লাবণ্য ফেরাতে কত কিছুই না করতে হয়। মধু, দুধ, বেসন, ময়দা , বিভিন্ন ক্যামিক্যাল পণ্য ব্যবহার করেও অনেকে উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে চায়। তবে কখনো কি কাঁচামরিচের কথা ভেবে দেখেছেন? খাবারে ঝাল বাড়াতে যে মরিচ ব্যবহার করা হয় , যে মরিচ হাতে লাগলেই জ্বলে যায়, সেখানে ত্বকের যত্নেই কাঁচামরিচ! অবাক হলেও সত্যি যে কাঁচামরিচে উজ্জ্বলতা ফিরবে ত্বকে। কিন্তু শোভা বাড়াতে ত্বকে লাগিয়ে নয় খেয়েই মিলবে এই উপকার।
কাঁচামরিচ কেন ত্বকের জন্য ভালো?
এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। আর ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ভিটামিন সি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাছাড়াও এতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন। এটি এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা ত্বক মসৃণ, সুন্দর রাখে। মুখের লাবণ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তারুণ্য ধরে রাখতেও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট জরুরি।
এছাড়াও কাঁচামরিচে রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান। ত্বকের ছোটখাটো সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে এটি। ফলে ব্রণের মতো সমস্যা দূরে রাখার জন্যেও কাঁচামরিচ রাখতে পারেন দৈনন্দিন খাবারে।
কিন্তু প্রশ্ন হল, ভিটামিন সি ও অন্যান্য উপাদান যা ত্বকের শোভা বাড়াবে তা অন্য খাবারেও আছে। তাহলে কাঁচামরিচ কেন খেতে হবে? এ ব্যাপারে কিছু পুষ্টিবিদেরও রয়েছে দ্বিমত। পুষ্টিবিদ অনন্যা ভৌমিক বলেছেন, ‘‘কাঁচামরিচে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট অবশ্যই আছে। এগুলি ত্বকের জন্য ভাল। তবে কাঁচামরিচ ব্যবহার হয় খাবারে ঝাল বৃদ্ধির জন্য। দৈনিক যে পরিমাণ কাঁচামরিচ খাওয়া হয়, তাতে সরাসরি ত্বকের ঔজ্জ্বল্যে প্রভাব পড়বে, এমন নয়। এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও নেই।’’
পুষ্টিবিদের কথায়, কাঁচামরিচে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এজিং বা বয়সের বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে শ্লথ করতে পারে ঠিকই, তবে সরাসরি ত্বকের বলিরেখা কমিয়ে ফেলবে, এমন কিন্তু নয়। বরং কাঁচামরিচের বদলে নানা ধরনের ফল, সবজি, বাদাম খাওয়া যেতে পারে, যাতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে।
সতর্ক করে পুষ্টিবিদেরা জানান, উপকারিতা থাকলেও মুঠো ভরে কাঁচামরিচ খাওয়া হয় না। কাঁচামরিচে রয়েছে উচ্চমাত্রার ক্যাপসিসিন। বেশি কাঁচামরিচ খেলে পেটে জ্বালার অনুভূতি তৈরি হতে পারে। হজমেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফলে দিনে একটি বা দু’টি কাঁচামরিচই যথেষ্ট।
টিএ