-67973acd98b63.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
বর্তমান প্রেক্ষাপটে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার কারণে অল্প বয়সেই চুল পড়ে যায়। চুলকে সুন্দর রাখা প্রয়োজন সবসময়৷ তবে শীতে বেশি পরিমাণে চুল পড়ে থাকে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় জানা গেছে, চুলের বৃদ্ধির জন্য চুলকে হাইড্রেট রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা জার্নাল অফ কসমেটিক ডার্মাটোলজিতে প্রকাশিত হয়েছে৷
তবে শীতকাল এলেই আমাদের গরম পানির ব্যবহার বহুগুণে বেড়ে যায়। দেখবেন শীত বাড়লেই চুল পড়াও বেড়ে যায়। চুল পড়ার বিভিন্ন কারণের মধ্যে গরম পানির ব্যবহার অন্যতম।
বিশেষজ্ঞরা জানান, গোসলের সময় খুব গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের ফলিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই গোসলের জন্য হালকা গরম পানি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। চুল মজবুত করতে গোসলের পরে কন্ডিশনার লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা জানান, যতটা সম্ভব গোসলের পরে আপনার চুল স্বাভাবিকভাবে শুকাতে দেওয়া উচিত। সতর্ক করা হয় যে, গরম হেয়ার ড্রায়ারের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে চুলকানি, অ্যালার্জি এবং চুল ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ-এর তথ্য অনুযায়ী, অতিরিক্ত গরম ভাপ চুলের গোড়াকে দুর্বল করে দেয়। এছাড়াও, গোসলের পর চুল মোছার জন্য সাধারণ তোয়ালের পরিবর্তে মাইক্রোফাইবার ব়্যাপার ব্যবহার করা ভালো।
কখনো ভেজা চুল আঁচড়াবেন না। এতে বেশি চুল উঠে যায়৷ চুল একটু শুকিয়ে যাওয়ার পর চুল আঁচড়ানো ভালো৷ চুল আঁচড়ানোর জন্য চাইলে কাঠের চিরুনি ব্যবহার করা যেতে পারে।
তাছাড়াও ঠান্ডা জায়গায় যাওয়ার সময়, উলের তৈরি টুপি দিয়ে চুল ঢেকে রাখতে হবে ৷ অন্যথায় ঠান্ডা বাতাস চুলের ক্ষতি করতে পারে। এটাও বলা হয় যে, স্বাস্থ্যকর চুল গজাতে নিয়মিত চুল কাটা উচিত।
শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনধারা যতটা প্রয়োজন, চুলের যত্নের জন্যও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে চলতে হবে। তাই বেশি করে পানি পান করা প্রয়োজন৷ যা আপনার চুলকে স্বাস্থ্যকর করে তুলবে।
এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট নেওয়া ভালো৷ এর মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ চুলকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
টিএ