Logo

গণমাধ্যম

ভোরের কাগজের সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:২৪

ভোরের কাগজের সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা

ভোরের কাগজের সাংবাদিক-কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে পত্রিকাটির আটজন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৫ আগস্ট) অষ্টম ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী বকেয়া বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা পরিশোধ এবং চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে মালিকপক্ষের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কাকরাইলের এইচআর ভবনে অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- এস এম মিজান, রাজিবুল মানিক, নুর মুহাম্মদ স্বপন, তরিকুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, নাজাত ও বেলাল হোসেন। 

এর আগে, দাবি আদায়ে দুপুর দুইটায় কাকরাইল মোড়ে এইচআর ভবন অবরোধ করে তালা ঝুলিয়ে দেন কাগজের সংবাদকর্মীরা। এইচআর ভবনের মূল ফটকের সামনে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান করে নানান স্লোগান দিতে থাকেন তারা। এ সময় লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ভোরের কাগজের সাংবাদিক খোন্দকার কাওছার হোসেন। 

এর আগে, সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ভোরের কাগজের সাংবাদিক-কর্মচারীরা জানিয়েছিলেন, ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা থেকে তারা ভবনের নিচে অবস্থা করবেন।

বুধবার এইচআর ভবন অবরোধ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তসলিম ইসলাম অভি, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, গণঅধিকার পরিষদের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ওয়ালিউল্লাহ খান, গণফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মিজানুর রহমান। 

অবরোধ কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক ইকবাল মজুমদার তৌহিদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক মো. আবু বকর, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা। 

আন্দোলনরত সাংবাদিকরা বলেন, ভোরের কাগজ ৮ম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করেছে- এমন ঘোষণা দিয়ে সরকার থেকে নয়শ’ টাকা কলাম ইঞ্চি বিজ্ঞাপনসহ সকল সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে। অথচ সাংবাদিক-কর্মচারীদের ওয়েজ বোর্ডের বেতন স্কেলের সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে। এমনকি কোনো নিয়োগপত্র দেয়নি।

কর্মসূচি থেকে অষ্টম ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী সমস্ত বকেয়া বেতন-ভাতা ও সার্ভিস বেনিফিট দিতে হবে বলে ১৯ জানুয়ারি ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও ওইদিন জানানো হয়। এরপরই গত ২০ জানুয়ারি একটি নোটিশ টানিয়ে ৩৩ বছরের পুরোনো এই সংবাদপত্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়। নোটিশে বলা হয়, ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১২ ধারা অনুযায়ী মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে; যা চলতি বছরের ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

পরদিন ২১ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ভোরের কাগজের প্রধান প্রতিবেদক খোন্দকার কাওছার হোসেন দাবি মেনে নিতে মালিকপক্ষকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। অন্যথায় মালিকপক্ষের অফিস ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ২৩ জানুয়ারি কাকরাইলে কর্ণফুলী গ্রুপের প্রধান কার্যালয় এইচআর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। ভোরের কাগজ কর্ণফুলী গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি খুলে দেওয়া ও বকেয়া পরিশোধের দাবিতে সংবাদকর্মীদের নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর