তরুণদের উন্নয়নে ব্রিটিশ কাউন্সিলের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৫৫
তরুণ নেতৃত্বের মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে পরিচালিত কার্যক্রম নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ কাউন্সিলের মিলনায়তনে ‘নন-ফর্মাল এডুকেশন ফর ইয়ুথ-লেড চেঞ্জ : ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
ব্রিটিশ কাউন্সিল ও লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এ গবেষণায় অর্থায়ন করেছে ইউকে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশনের আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ রিসার্চ কাউন্সিল (এএইচআরসি)। প্রতিবেদনে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘লিডারশিপ ফর অ্যাডভান্সিং ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (লিড বাংলাদেশ)’ প্রকল্পের কার্যক্রম ও প্রভাব বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
গবেষণায় উঠে এসেছে, লিড বাংলাদেশ প্রোগ্রামটি তরুণদের ক্ষমতায়ন, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং নেতৃত্বের মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তরুণদের জন্য প্রয়োজনভিত্তিক প্রশিক্ষণ, সক্রিয় নাগরিকত্ব, লৈঙ্গিক সমতা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে প্রোগ্রামটির কার্যকারিতা প্রশংসিত হয়েছে।
গবেষণায় তরুণ নেতৃত্বাধীন সামাজিক কর্ম প্রকল্পগুলোর (এসএপি) ইতিবাচক প্রভাব এবং এর চ্যালেঞ্জগুলোও চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে তরুণদের সম্পৃক্তকরণ, নীতিনির্ধারকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন, সম্পদের অপ্রতুলতা ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমস্যা। প্রোগ্রামটির সময়সীমা বৃদ্ধি, বাজেট বাড়ানো এবং ফলো-আপ কার্যক্রম আরও জোরদার করার সুপারিশও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী তরুণদের উন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তরুণদের উন্নয়নে আরও সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘ব্রিটিশ কাউন্সিলের লিড বাংলাদেশ প্রোগ্রামের ওপর এই গবেষণা প্রতিবেদনটি তরুণদের উন্নয়ন কার্যক্রমের রূপান্তরমূলক শক্তিকেই তুলে ধরে। আমরা এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের জ্ঞান ও দক্ষতার উন্নয়নে কাজ করেছি, যা তাদের নিজ নিজ কমিউনিটিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রেখেছে। তবে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে এবং বাংলাদেশের তরুণদের ক্ষমতায়নে আরও অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলে আমরা আমাদের অংশীদারদের সাথে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব পলিটিকস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ড. কেটি হজকিনসন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিনুর রশিদ ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের নন-ফর্মাল এডুকেশন টিম একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে একটি আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়। সভায় কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক শাসন এবং কমিউনিটির সম্পৃক্ততার মতো বিষয়গুলোর ওপর আলোকপাত করা হয়।
ডিআর/এইচকে