Logo

জাতীয়

পাঁচ দফা দাবি

মেডিকেল শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ডাক

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৮

মেডিকেল শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ডাক

পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। শনিবার (৮ মার্চ) পাঁচ দফা দাবি বিষয়ক স্টিয়ারিং কমিটির গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, পাঁচ দফা দাবি আদায়ে শনিবার (৮ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সারাদেশে পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলবে।

মেডিকেল শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পাঁচ দফা
১. ডাক্তার পদবি ব্যবহার সংক্রান্ত রিট প্রত্যাহার। মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করা। যা ২০১০ সালে গত সরকার দিয়ে গেছে।

২. উন্নত বিশ্বের মান অনুযায়ী ওটিসি ড্রাগ আপডেট করা। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিতে ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা।

৩. স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসক সংকট নিরসনে দ্রুত শূন্যপদে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ এবং আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠনপূর্বক ৬ষ্ঠ গ্রেডে চাকরি প্রবেশপথ তৈরি। প্রতিবছর চার থেকে পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করে চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখা। চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪-এ উন্নীত করা।

৪. বেকার তৈরির কারখানা সব ম্যাটস প্রতিষ্ঠান এবং মানহীন মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা। তবে এরই মধ্যে শিক্ষাধীন ম্যাটস শিক্ষার্থী এবং ডিএমএফ গণের প্যারামেডিকস হিসেবে পদায়নের ব্যবস্থা করা। এ ছাড়াও SACMO পদবি বাতিল করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদবি ব্যবহার চালু। এটি ডাক্তার শব্দের সমার্থক হিসেবে জনগণকে ধাঁধায় ফেলে দেয়।

৫. চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তায় চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা। এ ক্ষেত্রে দ্রষ্টব্য যে ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে ডাক্তার সমাজের প্রতিবাদের মুখে ৭ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। যা আজ ৭ মাস পেরিয়েও কোনো আলোর মুখ দেখেনি।

  • এসআইবি/এমজে
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর