২৮ মে বিজিএমইএ নির্বাচন
পোশাক-বস্ত্রখাতের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় চান শিল্প মালিকরা

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৫, ২০:৫৮

টেকসই পোশাক ও বস্ত্রখাত গড়ে তুলতে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি জানিয়েছেন দেশের শিল্প মালিকরা। তাদের মতে, পোশাক খাত এককভাবে দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি আয়ের উৎস হলেও প্রতিনিয়ত নানা বৈশ্বিক এবং স্থানীয় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি নীতি প্রণয়ন জরুরি, যা একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় গঠনের মাধ্যমে কার্যকর করা সম্ভব।
শনিবার (৮ মার্চ) বিজিএমইএ নির্বাচনী জোট ফোরাম সাধারণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে আয়োজিত আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে এসব দাবি তোলেন শিল্প নেতারা।
নেতারা অভিযোগ করেন, অতীতে বিজিএমইএ দলীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছিল, যা দুঃখজনক। তারা বলেন, ‘হারানো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে হবে। বিজিএমইএর নেতৃত্বে যারা থাকবেন, তাদের শুধু কার্ডধারী পরিচালক হিসেবে নয়, বরং দেশের পোশাক শিল্প রক্ষার অগ্রনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
তারা আরও বলেন, সরকারের সঙ্গে আঁতাত নয়, বরং দেশের স্বার্থেই পোশাক শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে হবে। অন্যথায় এই শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।
ফোরাম প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ‘পোশাক খাতের জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নীতি সহায়তা দরকার। কারণ, এই খাতকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলতে থাকে। বিভিন্ন সময় শ্রমিক অসন্তোষের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়। এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কি না, সেটিও তদন্ত করা দরকার। কারণ, শ্রমিকরা নিজেদের কর্মসংস্থান ধ্বংস করতে পারে না।’
ফোরাম মহাসচিব রশিদ আহমেদ হোসাইনি বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে খবর হয়েছে, এরই মধ্যে প্রায় ৭০০ ভুয়া ভোটার শনাক্ত হয়েছে। তাদের ভোটাধিকার বাতিল করা হয়েছে। এটি খুব লজ্জার। আমরা চাইব, আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই খাত ছাড়া দেশের অর্থনীতি টিকিয়ে রাখা কঠিন। বিজিএমইএকে কোনোভাবেই দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করা যাবে না।’
প্রসঙ্গত, আগামী ২৮ মে বিজিএমইএ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে। সাধারণ সদস্যদের চাঁদা পরিশোধের শেষ তারিখ ২৯ মার্চ। আর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৪ এপ্রিল।
এইচকে/এটিআর