
রাজধানীর শাহবাগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে তারা ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন এবং দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে ছয় দফা দাবি পেশ করেছেন।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন এবং সড়ক অবরোধ করেন।
২২ মিনিট ধরে চলা এই অবরোধের ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা ৬ দফা ঘোষণা দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা
১. ধর্ষকের শাস্তি জনসম্মুখে নিশ্চিত করতে হবে, যাতে সমাজে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যায়।
২. ধর্ষকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে সম্পূর্ণ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করতে হবে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।
৩. যদি কোথাও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা, মেডিকেল রিপোর্ট তৈরি করা এবং ভিকটিম ও সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। আর পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে ধর্ষকের ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে একটিতেও অসামঞ্জস্য থাকলে, সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না। ধর্ষণ মামলার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে ধর্ষিত নারী এবং পুরুষের স্পার্ম পরীক্ষা করার জন্য ল্যাবরেটরির সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
৪. ধর্ষণের বিচার সালিশির মাধ্যমে করা যাবে না। এর বিচার নিশ্চিত করবে শুধু রাষ্ট্র। সালিশি বিচার আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি অনৈতিক পন্থায় প্রশাসন কর্তৃক যদি ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসামি ছাড়া পায়, তবে তদন্ত অনুযায়ী কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করতে হবে।
৫. অপ্রাপ্ত/বয়স্ক পুরুষ দ্বারা ধর্ষণের শিকার হলে সর্বোচ্চ ফাঁসি এবং অন্তত আমৃত্যু কারাদণ্ড কার্যকর করতে হবে।
৬. বর্তমানে চলমান সব ধর্ষণ মামলার বিচার আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। এ বিষয়ে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জবাবদিহি করতে হবে।
- এনএমএম/এমজে