Logo

জাতীয়

ধর্ষণের সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ১৭:৫২

ধর্ষণের সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের কিছু সংশোধনী প্রস্তাব সরকার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

সোমবার (১৭ মার্চ) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

এক্ষেত্রে ধর্ষণের সংজ্ঞাসহ শাস্তির বিধানে বেশকিছু সংশোধনী প্রস্তাব আনার কথা জানান আইন উপদেষ্টা। যেমন- শিশু ধর্ষণের মামলা আলাদাভাবে বিচার করার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের বিধান রাখা হচ্ছে।

মামলার জট এড়াতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্মতি নিয়ে প্রতারণামূলক ধর্ষণ এবং সম্মতি ব্যতিরেকে ধর্ষণের অপরাধ আলাদা করা হয়েছে।

এ ছাড়া ধর্ষণের সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনার কথাও জানান আইন উপদেষ্টা । তিনি বলেন, শুধুমাত্র পুরুষ কর্তৃক নয়; বরং যেকোনো ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণকে শাস্তিযোগ্য করা হচ্ছে।

সেইসাথে ধর্ষণের সংজ্ঞায় বলাৎকারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শুধুমাত্র পেনিট্রেশন না, যদি অন্যকোনো বস্তু ব্যবহার করা হয় বা পায়ুপথে বা যেকোনোভাবে ধর্ষণ করা হয়, সেটাও ধর্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে আইন উপদেষ্টা উল্লেখ করেন।

সেইসাথে ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করাসহ, ধর্ষণের উদ্দেশ্যে কেউ যদি আঘাতপ্রাপ্ত হন, সেটার জন্যও কঠোর শাস্তির বিধান রাখার কথা জানান তিনি।

খসড়া আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের মামলা তদন্তের সময় ৩০ দিন থেকে কমিয়ে ১৫ দিন এবং মামলার বিচার কাজ শেষ হওয়ার সময় ১৮০ দিন থেকে কমিয়ে ৯০ দিন করা হচ্ছে।

বিচারক যদি মনে করেন তবে ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই মেডিকেল সার্টিফিকেট ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে মামলার বিচারকাজ ও তদন্ত কাজ চালাতে পারবেন- এমন বিধান রেখে আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা।

অন্তর্বর্তী সরকারের বন, জলবায়ু ও পরিবেশবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আজ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানে এই আইনের সংশোধনীর ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এই আইনটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পেতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ডিআর/বিএইচ

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইন আসিফ নজরুল

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর