Logo

জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টার সাথে মার্কিন সিনেটরের বৈঠকে যেসব প্রসঙ্গ উঠল

Icon

বাসস

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০০:১২

প্রধান উপদেষ্টার সাথে মার্কিন সিনেটরের বৈঠকে যেসব প্রসঙ্গ উঠল

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, উৎসবমুখর পরিবেশে আগামী নির্বাচন হবে অবাধ ও সুষ্ঠু একটি নির্বাচন।

রাজনৈতিক দলসমূহ যদি সীমিত সংস্কারে সম্মত হয়, তাহলে ডিসেম্বরের মধ্যে সরকার নির্বাচন আয়োজন করবে। তবে দলগুলো যদি বড় সংস্কার প্যাকেজ চায়, তাহলে সাধারণ নির্বাচন কয়েক মাস পরে অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্স (ডি-এমআই) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেন। ড. ইউনূস মার্কিন সিনেটেরের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।

ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

সিনেটর পিটার্স অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, গুরুত্বপূর্ণ কমিশনগুলোর প্রতিবেদন এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার উৎসবমুখর পরিবেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অতীতে যেমন দেখা যেতো নির্বাচনের দিনটিকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদযাপন করতে, এবারো নির্বাচনের দিন সেভাবে বড় আকারে উদযাপন করা হবে।

অধ্যাপক ইউনূস জানান, রাজনৈতিক দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাবিত সুপারিশসমূহে একমত হলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে। এই জুলাই সনদ দেশের ভবিষ্যৎ পথনির্দেশ করবে।

গ্যারি পিটার্স সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রশংসা করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে টেকসই গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রত্যাশা করছে।

সিনেটর পিটার্স জানান, মিশিগানে, বিশেষত ডেট্রয়ট শহরে, অনেক বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মানুষ বসবাস করেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে প্রচুর ভুল তথ্য ছড়িয়েছে। এই ভুল তথ্যের কিছু অংশ যুক্তরাষ্ট্রেও পৌঁছেছে, যা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

অধ্যাপক ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ বা পরিচয় যা-ই হোক না কেন, তার সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ।

তিনি বলেন, গত বছরের আগস্টে ক্ষমতার পালাবদলের পর সংখ্যালঘুদের, বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যে হামলা হয়েছিল, তা ধর্মীয় কারণে নয়, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। তবে তার সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস মার্কিন সিনেটরকে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর ও গ্রাম পরিদর্শনের আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি অন্যান্য মার্কিন রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্টদের বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, এখানে ভ্রমণের মাধ্যমে তারা ধর্মীয় সম্প্রীতি সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য জানতে পারেন। আমরা আপনাদের সাহায্য চাই। দয়া করে আপনার বন্ধুদের বলুন, বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে। তাহলে আমরা এই ভুল তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে লড়তে পারব।

উভয় নেতা সামাজিক ব্যবসা পরিচালনা, দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব তৈরি এবং ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার বিষয়ে আলোচনা করেন।

ওএফ

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন সিনেটর ড. মুহাম্মদ ইউনূস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর