-67ea4b3c382a2.jpg)
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদুল ফিতরের দিন সোমবার (৩১ মার্চ) কারাবন্দিদের জন্য উৎসবমুখর পরিবেশ নিশ্চিত করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। বন্দিরা যাতে অন্তত একদিনের জন্য হলেও ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন, সে লক্ষ্যে খাবার থেকে শুরু করে বিনোদন, পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ও পরিবারের দেওয়া পছন্দের খাবার খাওয়ারও সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কেরাণীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে
সোমবার তিনটি ঈদ জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৭টা ও ১০টায় কারাগারের স্টাফদের জন্য অনুষ্ঠিত হয় পৃথক দুটি জামাত।
অন্যদিকে, সকাল ৮টায় কারাবন্দিদের জন্য মাঠে আয়োজন করা হয় ঈদের জামাত। ঈদে বন্দিদের জন্য বরাবরের মতো এবারও বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক জান্নাতুল ফরহাদ বাংলাদেশের খবরকে এসব তথ্য জানান।
কারা সূত্রে জানা যায়, মুড়ি ও পায়েস দিয়ে শুরু হয়েছে বন্দিদের ঈদের দিন। সকালে তাদের জন্য পরিবেশন করা হয় মুড়ি, পায়েস ও সেমাই। দুপুরের খাবারে তাদের জন্য আয়োজন করা হয়েছে গরুর মাংস, মুরগির রোস্ট, ডিম, কোমল পানীয়, সালাদ ও পান-সুপারি। যারা গরুর মাংস খান না, তাদের জন্য খাসির মাংসের ব্যবস্থা রয়েছে। রাতের খাবারে বন্দিদের জন্য পরিবেশন করা হবে সাদা ভাত, রুই মাছ ও আলুর দম।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন বন্দিরা স্বাভাবিক নিয়মের চেয়ে পাঁচ মিনিট বেশি সময় ধরে মোবাইল ফোনে স্বজনদের কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন। এ ছাড়া ঈদের দ্বিতীয় দিনে বন্দিদের জন্য বিশেষ বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি ওই দিন স্বজনরা বাসা থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে আসতে পারবেন, তবে তা কারা কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত নিয়ম মেনে প্রবেশ করাতে হবে।
এনএমএম/এমজে