আসিফ নজরুল
জাতীয় সঙ্গীত প্রসঙ্গে সরবরা সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে নীরব কেন?
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:৫০
জাতীয় সংগীত প্রসঙ্গে সরব, দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে নীরব কেন, এমন প্রশ্ন ছুড়লেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও বিচার বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আসিফ নজরুল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি পোস্টে এ প্রশ্ন করেন।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে নানা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ চলছে, অভিযোগ করছে ভারত।
গত ২৫ নভেম্বর সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর এ অভিযোগ আরও জোরালো করে তারা।
এই ইস্যু নিয়ে উভয় দেশের বিভিন্ন গোষ্ঠীর ভেতরে উত্তেজনাও চলমান রয়েছে। ভারতের বিভিন্ন মিডিয়ায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে অতিরিঞ্জিত খবর প্রচার করা হচ্ছে। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনাও ঘটেছে।
এমন পরিস্থিতিতে গত ২ ডিসেম্বর আগরতলা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন অফিসে ভাঙচুর চালায় হিন্দুত্ববাদী একটি সমিতির সদস্যরা। হাইকমিশনের ভেতরে প্রবেশ করে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলার ঘটনাও ঘটে।
এসব ঘটনায় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে আসিফ নজরুল যারা প্রতিবাদ করেননি, তাদের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘জাতীয় সংগীত ইস্যুতে যারা সরব ছিলেন, দেশের সার্বভৌমত্বের ইস্যুতে তাদের অনেকে নীরব কেন?’
গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতকে ‘স্বাধীনতার অস্তিত্বের পরিপন্থি’ আখ্যা দিয়ে তা পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী।
সে সময় তার বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও তাদের সমর্থকরা। এছাড়াও বাম ঘরানার সব রাজনৈতিক দল ও তাদের সমর্থকরাও প্রতিবাদ জানিয়েছিল। বিষয়টি দেশের সার্বভৌমত্বকে খাটো করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল তাদের।
কিন্তু এখন দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে ভারতের আগ্রাসন ইস্যুতে তাদের অনেকেই নীরব আছেন। এ বিষয়টি ইঙ্গিত করেই আসিফ নজরুল ওই পোস্ট দিয়েছেন।
আসিফ নজরুলের সেই পোস্ট দেওয়ার পর ১ ঘণ্টায় ৮০ হাজার রিঅ্যাক্ট পড়েছে। শেয়ার হয়েছে ৪ হাজার ৬০০টির বেশি। আর কমেন্ট জমা পড়ছে প্রায় ১৬ হাজার।
ডিআর/এমএইচ