Logo
Logo

জাতীয়

ইউনূসের ভূয়সী প্রশংসা করলেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট

Icon

বাসস

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৩৯

ইউনূসের ভূয়সী প্রশংসা করলেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট

পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তা বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অবদানের প্রশংসা করেছেন।

তিনি বলেন, ড. ইউনূস এমন একজন ব্যক্তি যার জীবন ও কর্ম প্রমাণ করে তিনি জনগণের জীবনমান উন্নয়নে কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দারিদ্র্য ও হতাশা থেকে শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা বিশ্বের লাখ লাখ মানুষকে মুক্তির জন্য তার পুরো জীবন উৎসর্গ করেছেন।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘সমসাময়িক বিশ্বে শান্তি বিষয়ে বিশিষ্টজনের বক্তৃতা’ শীর্ষক সেশনে বক্তৃতায় জোসে রামোস-হোর্তা এ মন্তব্য করেন।

পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম এবং ড. ইউনূসের কাজ কতটা কার্যকর হয়েছে তা বিস্ময়কর।

বাংলাদেশে এটি তার তৃতীয় সফর উল্লেখ করে তিনি স্মৃতিচারণ করেন যে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূসকে তার দেশে ক্ষুদ্রঋণ চালুর জন্য ২০০৪ সালে পূর্ব তিমুরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

রামোস-হোর্তা বলেন, সেটিই ছিল আমার দেশে ক্ষুদ্রঋণের সূচনার প্রথম পদক্ষেপ।

পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট তার বক্তৃতায় চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, সিরিয়া সংকট, ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ ও মিয়ানমার সংঘাত, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সংঘাত প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য বিশ্ব নেতাদের দায়ী করেন।

তিনি এশিয়ার সমৃদ্ধ অঞ্চল গঠনে আসিয়ান ফোরামের ভূমিকার কথা তুলে ধরে বলেন, পূর্ব তিমুর আগামী বছরের মধ্যে এ আঞ্চলিক ফোরামে যোগ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রামোস-হোর্তা রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনায় এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা আনতে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত সংকট সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। 

পূর্ব তিমুরের স্বাধীনতায় তার সংগ্রামের কথা স্মরণ করে তিনি কীভাবে ইন্দোনেশিয়ার কারাগারে আট বছর বন্দী জীবন কাটিয়েছেন তা উল্লেখ করেছেন।

পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট বলেন , তার দেশ যখন ২০০২ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে তখন দেশের জিডিপি ছিল মাত্র ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং অর্থনীতি শক্তিশালী ছিল না।

তিনি বলেন, এখন তার দেশের প্রায় ৯৭ শতাংশ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। মানুষের গড় আয়ু ২০০২ সালের ৬০ বছরের নিচে থেকে ৭০ বছরের বেশি হয়েছে।

রামোস-হোর্তা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির পরে বিশ্বব্যাপী পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ও তুলে ধরেন। 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস।

ওএফ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর