শুধু বিএনপি-জামায়াত নয়, আ.লীগেরও আতঙ্ক ছিলেন সেই কানু
নূর মোহাম্মদ মিঠু (ঢাকা) ও সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ (কুমিল্লা)
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:১৫
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তার ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। প্রধান উপদেষ্টা থেকে সাধারণ মানুষ- সকলেই প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
লাঞ্ছিত আব্দুল হাই ভূঁইয়া কানু চৌদ্দগ্রামের লুদিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয়রা বাংলাদেশের খবরকে জানিয়েছেন, হেনস্তার এই ঘটনার পেছনে মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার মতো ধৃষ্টতাপূর্ণ কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। এটি বরং তার বিরুদ্ধে মানুষের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ থেকে ঘটেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ঘটনার পরে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন যিনি মানুষের সিম্প্যাথি পাচ্ছেন, আওয়ামী লীগ সরকার আমলে সেই কানু ও তার ছেলে বিপ্লব কেবল বিএনপি-জামায়াত কিংবা সাধারণ মানুষের জন্যই নয়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জন্যও ছিলেন মূর্তিমান আতঙ্ক।
২০১৬ সালে লুদিয়ারা বাজারে কানু ও তার ছেলে প্রকাশ্য দিবালোকে ব্রাশফায়ারে যুবলীগ কর্মী আবু বক্কর ছিদ্দিক রানাকে হত্যা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় সে সময় সমাবেশ করে তাদের ফাঁসির দাবি করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ এলাকাবাসী। অভিযোগ রয়েছে, আব্দুল হাই কানু উপজেলা যুবলীগ নেতা শাহীন হত্যাকাণ্ডেও সরাসরি জড়িত ছিলেন।
- কানুর অত্যাচারে দেশছাড়া প্রবাসীরাই দেন জুতার মালা
- বাড়ি ছেড়েছেন কানু
- হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ
- ২০১৬ সালে কানুর ফাঁসি দাবি করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ
- দ্বন্দ্ব ছিল সাবেক রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হকের সঙ্গেও
- বিএনপি-জামায়াত তকমা দিয়ে এলাকাছাড়া করতেন প্রতিপক্ষকে
কানুর বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ কমপক্ষে ৮টি মামলা চলমান। টানা দুই বছর জেল খেটে গত ৫ আগস্টের কিছুদিন আগে তিনি জামিনে বের হন। তার ছেলে বিপ্লবও একাধিকবার জেল খেটেছেন। এর আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোট ডাকাতি, সংঘর্ষসহ বহু অপরাধের ঘটনায় সরাসরি জড়িত কানু মানুষের পা চেপে ধরে শাহীনের জানাজায় ক্ষমা চান।
এলাকাবাসী বলছেন, কানু গত ১৬ বছরে অন্যের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো, বিএনপি-জামায়াত তকমা দিয়ে অসংখ্য অগণিত মানুষকে এলাকা ছাড়া করা, প্রবাসে পাড়ি জমাতে বাধ্য করা ও দলীয় কর্মীদের মারধর-হত্যার মতো গুরুতর বিষয়ে অভিযুক্ত। এসব কারণে নিজ দলীয় ক্যাডারদের হাতে মারধরের শিকারও হয়েছেন।
স্থানীয় সাবেক সাংসদ ও রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হকের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল তার। এর জেরে রাজনৈতিক গ্রুপিং ও হানাহানির ঘটনাও ঘটেছে।
২০০০ সাল পর্যন্ত আওয়ামী আমলে নানা ঘটনায় আলোচিত ছিলেন কানু। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি আড়ালে নীরবে দিন কাটান। বিএনপি সরকারের আমল শেষে তিনি আবারও স্বরূপে ফেরেন। বিএনপি-জামায়াতের লোকদের বাড়িতে হামলা, বাড়ি থেকেও বের করে দেওয়াসহ অনেকের বাড়িঘর ভাঙচুর, মারধর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে উঠিয়ে দেওয়াসহ নানা অত্যাচারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অনেকে তার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বিদেশেও পাড়ি জমান।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৩-১৪ সাল পর্যন্ত এলাকায় জামায়াত-বিএনপির লোকজন আসতেই পারেননি। ওই সময়ে তারা নিজেরাই (আওয়ামী লীগ) বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যান। বিভিন্ন সময় নিজেদের মধ্যেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তখন কানু ও তার ছেলে বিপ্লবের (তৎকালীন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি) নেতৃত্বে যুবলীগকর্মী রানা হত্যার ঘটনা ঘটে। ওই সময় তাদের বিরুদ্ধে হত্যা ও অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় ইউনিয়ন নির্বাচন।
‘সর্বশেষ যে ঘটনাটি ঘটেছে, এটি প্রবাসী লোকজনরা ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে ঘটিয়েছেন। ওনাকে মারধর করা হয়নি। তবে অপমান করা হয়েছে। এটি যতটা না রাজনৈতিক, তার চেয়ে বেশি ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ’
-পরিচয় গোপন রাখার শর্তে লুদিয়ারা গ্রামের এক যুবক
নির্বাচনে কানুর ছেলে একপক্ষে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন, অন্যদিকে ছিলেন সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের প্রার্থী জাহিদ হাসান টিপু। ভোটডাকাতি নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় কানুর বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরপর ঘটে যুবলীগকর্মী সোহাগ হত্যার ঘটনা। সোহাগ হত্যাকাণ্ডে কানু সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহীন মারা যান কুমিল্লা কারাগারে। এই মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। অভিযোগ রয়েছে, শাহীনকে হত্যা করা হয় এবং এতে সম্পৃক্ততা ছিল কানুর। শাহীনের জানাজায় এলে এলাকাবাসীর তোপের মুখে ওই সময় সবার কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চান কানু। এরপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে কয়েকদফা মারধরের শিকার হন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে লুদিয়ারা গ্রামের এক যুবক বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ‘সর্বশেষ যে ঘটনাটি ঘটেছে, এটি প্রবাসী লোকজনরা ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে ঘটিয়েছেন। ওনাকে মারধর করা হয়নি। তবে অপমান করা হয়েছে। এটি যতটা না রাজনৈতিক, তার চেয়ে বেশি ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে জামায়াত-বিএনপির সমর্থকরাও ছিলেন। তবে এটি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে লাঞ্ছিত করার কোনো প্রচেষ্টা ছিল না।’
স্থানীয়রা বলছেন, অতীতের ঘটনার প্রতিশোধই এখানে মুখ্য। কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে পরিকল্পিতভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা এটি নয়। এর আগেও কানু বহুবার মারধরের শিকার হয়েছেন, জেল খেটেছেন, মামলা খেয়েছেন। সেসব যেমন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ছিল না, এটিও তেমন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু (বীরপ্রতীক) কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য। স্থানীয়দের একটি পক্ষ বলছে, ঘটনাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক নয়। লুদিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুল হালিম মজুমদারকে লাথি মেরে পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনার জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া পূর্বের বিভিন্ন বিরোধের ক্ষোভ থেকে খেতাবপ্রাপ্ত এ মুক্তিযোদ্ধাকে আটক করেন স্থানীয়রা। পরে কানুর গলায় জুতার মালা দেওয়া হয়। একপর্যায়ে কানু জুতার মালা সরিয়ে এলাকায় থাকার আকুতি জানান। এ সময় তাকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দিতে থাকেন ঘিরে থাকা লোকজন। এ সময় তিনি দুই হাত ওপরে তুলে ক্ষমা প্রার্থনাও করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পারিবারিক দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটেছে। এর সাথে রাজনীতির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। গত ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর যুবলীগকর্মী আবু বক্কর ছিদ্দিক রানাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেন কানু, তার ছেলে বিপ্লব ও তাদের সহযোগীরা। ওইদিন আমি নিজেও গুলির শব্দে ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে আহত হই। কানু এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছেন। তার প্রতি অনেকের ক্ষোভ আছে।’
আবদুর রহমান (৮০) অভিযোগ করে বলেন, ‘কানু আমার ভাইকে বিদ্যালয়ের নির্বাচনের সময় লাথি মেরে পুকুরে ফেলে দেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে আমার ভাইয়ের থেকে ২৬ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করেন। এমনকি আমার ঘর নির্মাণের সময় আমার থেকেও ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। মানুষের অনেক ক্ষোভ।’
সাবেক ইউপি সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবদুল হক বলেন, ‘কানু গত ১৭ বছরে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করেছেন। একাধিক হত্যা, বাড়িঘর ভাঙচুর এবং চাঁদাবাজির সাথেও জড়িত। স্থানীয়রা পূর্বের ক্ষোভ থেকে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।’
এদিকে, বীর মুক্তিযোদ্ধা কানু লাঞ্ছিতের ঘটনায় দুই কর্মীকে বহিষ্কার করেছে জামায়াতে ইসলামী। একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করায় নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি করেছে দলটি।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন বলেন, ‘কৃষকলীগ নেতা কানু হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি। পূর্বের বিভিন্ন বিরোধ থেকে এলাকাবাসী এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। এর সাথে রাজনৈতিক কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
বাংলাদেশের খবরকে যা বলেছে কুমিল্লা ও চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ‘আব্দুল হাই কানুর বিরুদ্ধে ৮-৯টি মামলার বিষয়ে পুরোনো অপারেটরের মাধ্যমে জেনেছি। তবে আমার কাছে একটি হত্যা মামলা এবং একটি ভাঙচুরের মামলার তথ্য রয়েছে।’
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গতকাল (রোববার) রাত থেকেই জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। তবে অভিযান চলমান রয়েছে।’
একই বিষয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আরাফাতুল ইসলাম বলেন, ‘সবার সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। কোনো ব্যক্তি যদি অপরাধ করেন, তাহলে আইন অনুযায়ী বিচার হবে। অপরাধীকে জুতার মালা পড়িয়ে সম্মানহানির কোনো সুযোগ আইনে নেই।’
বাড়ি ছেড়েছেন লাঞ্ছিত কানু
নিরাপত্তাহীনতার কারণে কানু ঘটনার পরপরই এলাকা ছেড়ে ফেনী চলে যান। সেখানে তিনি তার ছেলের সাথে রয়েছেন। প্রশাসন যদি তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাহলে তিনি বাড়ি ফিরবেন বলে জানিয়েছেন।
‘যারা আমার গলায় জুতার মালা পরিয়েছে, তারা কেবল আমার নয়, বাংলাদেশের সব মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পরিয়েছে। আপনাদের কাছে বিচার দিলাম’ -আব্দুল হাই ভূঁইয়া কানু
এ ঘটনায় কানুর পরিবারও নিরাপত্তাহীনতার কারণে এলাকা ছেড়েছেন। ছেলে বিপ্লব জানান, তার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর আগে আব্দুল হাই ভূঁইয়া কানু এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমাকে বলেছে, তুই আর মুক্তিযোদ্ধা নামে পরিচয় দিবি না। এই এলাকায় থাকবি না। আমার জীবন চলে গেলেও আমি পরিচয় দেব, আমি মুক্তিযোদ্ধা। স্ট্যাম্প এনে বলেছে, তুই আর মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিবি না, এই এলাকায় থাকবি না। এখানে টিপসই দে আর স্বাক্ষর দে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি উপদেষ্টাগণ এবং ১৮ কোটি জনগণের কাছে বিচার দিলাম, যারা আমার গলায় জুতার মালা পরিয়েছে, তারা কেবল আমার নয়, বাংলাদেশের সব মুক্তিযোদ্ধার গলায় পরিয়েছে। আপনাদের কাছে বিচার দিলাম। তারা আমাকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেছে। আমাকে মারধর করেছে।’
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘তিনি অভিযোগ করতে রাজি নন। তিনি পুলিশকে বলছেন, অভিযোগ করলে এলাকায় থাকতে পারবেন না তিনি।’
উপজেলার বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা কানুর প্রকাশ্যে বিরোধ থাকলেও পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের প্রভাবে দলীয় নেতাকর্মীরা এখন তার পক্ষে অবস্থান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করছেন। কেউ কেউ লিখছেন, বিএনপি-জামায়াতের হামলায় বাধ্য হয়ে ফেনীতে আশ্রয় নিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কানু। আবার বিএনপির নেতৃস্থানীয় পর্যায়ের কেউ কেউও ফেসবুক লাইভে এসে মুক্তিযোদ্ধা কানুর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। জামায়াতের নেতাকর্মীরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মীকে একমত পোষণ করতেও দেখা গেছে।
এনএমএম/এআরএস/এমজে/এইচকে/এনআর/