সচিবালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতে প্রথমেই পড়ে ৭ নম্বর ভবন। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ৫০ মিনিটে ভবনটিতে আগুন লাগে। ছয় ঘণ্টা পর আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। তবে সচিবালয়ে লাগা আগুন নেভাতে এত সময় কেন লাগল, উঠেছে সেই প্রশ্ন?
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ৭ নম্বর ভবনের চারপাশে দেখা যায়, আগুনে ভবনের ছয় থেকে আটতলা পুড়েছে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে জানালার ভাঙা গ্লাস। কয়েকটি কবুতর মরে পড়ে আছে। ভবনের ভেতরে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছিল না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, আগুন নেভাতে গিয়ে তাদের পদে পদে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে। সচিবালয়ের ফটক দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ভেতরে ঢোকাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। মাত্র ২টি টার্নটেবল লেডার (টিটিএল) ভেতরে ঢুকতে পেরেছে। এর বেশি ঢুকতে পারলে আগুন আরও আগে নেভানো সম্ভব হতো। যদিও সচিবালয়ে ঢোকার মোট ফটক পাঁচটি। তবে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢোকার ফটক আছে মাত্র দুটি। এই ফটক দিয়ে ঢুকতে যেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি ভেঙে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, এর আগে বিভিন্ন সময় সচিবালয়ে ঢোকার ফটক সম্প্রসারণ করার কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু কেউ কথা শোনেনি।
কর্মকর্তারা বলেন, মন্ত্রণালয়গুলোতে কাঠ দিয়ে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করেছে। আগুন ছড়িয়ে পড়ার একটি বড় কারণ এই কাঠ। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি রুম ছিল বন্ধ। তালা ভেঙে, জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকতে হয়েছে।
আগুন নেভানোর কাজে জড়িত ফায়ার সার্ভিসের একাধিক কর্মকর্তারা জানান, অভিযান পরিচালনা করতে তাদের বেশ সমস্যা হয়েছে। যে কারণে আগুন নেভাতে সময় লেগেছে।
সকাল ১০টা থেকে পুরো ভবনের চারপাশ ঘুরে দেখেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদসহ অন্যরা।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক জানান, ‘অফিসের নথিপত্র, কম্পিউটার, আসবাব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে তিনি শুনেছেন। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে একটি কমিটি গঠন করা হবে।’
ডিআর/এইচকে/এটিআর