নয়নের মৃত্যুর দায় আমার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৫৩
মধ্যরাতে সচিবালয়ে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে গিয়ে ট্রাকচাপায় নিহত ফায়ার ফাইটার নয়নের মৃত্যুতে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, ‘আমার একজন কর্মী মারা গেল, এর ব্যর্থতার দায় আমার। এ ঘটনার অবশ্যই সুষ্ঠু বিচার হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় বঙ্গবাজার ফায়ার সদরদপ্তরে ফায়ার ফাইটার মো. সোহানুর জামান নয়নের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, ফায়ারের ডিজিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জানাজা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা প্রশ্ন করেন, আগুন নেভানোর সময় পুলিশ কেন ওই রাস্তা বন্ধ করল না? সেটা করলে তো ফায়ার ফাইটারের মৃত্যু হতো না। এই দায় কি আপনি এড়াতে পারবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অল্প বয়সে ছেলেটা চলে গেল। এই ঘটনার অবশ্যই বিচার হবে। আমার একজন কর্মী মারা গেল, এই ব্যর্থতা আমার।’
নয়নের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘অল্প বয়সে ছেলেটা চলে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে তার মা-বাবার। অন্য সবাই আস্তে আস্তে ভুলে যাবে। কিন্তু তার মা-বাবা এই মৃত্যু কখনো ভুলতে পারবে না।’
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, তদন্ত শেষেই বলা যাবে। কীভাবে আগুন লেগেছে। এর বাইরে কিছু বলতে পারব না।’
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে ১টা ৫২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসে আগুন লাগার খবর পৌঁছায়। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট কাজ করে এবং প্রায় সাত ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ১৫ মিনিটে পানির পাইপ কাঁধে নিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী একটি ট্রাক সোহানুর জামানকে ধাক্কা দেয় এবং পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হযলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মো. সোহানুর জামান নয়নের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর থানার আটপনিয়া গ্রামে। তার বাবা আক্তারুজ্জামান। তার মূল কর্মস্থল ছিল সিলেটের বিশ্বনাথ ফায়ার স্টেশন। তবে তিনি তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনে সংযুক্ত ছিলেন।
এনকেবি/এমজে/এমএইচএস