আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রাজনীতিকে চূড়ান্তভাবে কবর দিতে হবে। আওয়ামী রাজনীতির প্রত্যাবর্তন অসম্ভব করে দিতে হবেসহ তিনটি দাবি ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এ দাবি জানান তিনি।
হাসনাত আব্দুল্লাহর দাবিগুলো হলো-
১. আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রাজনীতিকে চুড়ান্তভাবে কবর দিতে হবে। আওয়ামী রাজনীতির প্রত্যাবর্তন অসম্ভব করে দিতে হবে।
২. ভারতীয় আধিপত্যবাদের অবসান ঘটাতে হবে। স্বাধীন, সার্বভৌম, আত্মনির্ভর মর্যাদার নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
৩. বাংলাদেশে একটা সাম্য ও ইনসাফের সমাজ গড়তে হবে।
রোববার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ৫ আগস্ট না হওয়ার কারণে বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে ফ্যাসিস্টরা। এটি গণ-অভ্যুত্থানের লেজিটিমেসিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। গণ-অভ্যুত্থানকে ঘিরে মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়েছে এবং ’৭২-এর সংবিধান যে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, তার একটি দালিলিক প্রমাণ হিসেবে ৩১ ডিসেম্বর জাতির সামনে মুজিববাদী ’৭২-এর সংবিধানের কবর রচিত হবে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানুষের আকাঙ্ক্ষা ঘোষণার ৩১ ডিসেম্বর মানুষ শহীদ মিনারে জড়ো হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, শহীদ পরিবারের লোকজন ছাড়াও সব রাজনৈতিক দল ও গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ৩১ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে জড়ো হবে। নাৎসিবাদী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা ঘোষণা করা হবে। তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে ঘোষণাপত্রের খসড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকে পাঠানো হয়েছে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ৩১ ডিসেম্বর ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, বিপ্লবের ঘোষণাপত্র আরও আগেই দেওয়া প্রয়োজন ছিল। তবে রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন সেক্টর থেকে সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, ঘোষণাপত্র বাংলাদেশের একটি দলিল হয়ে থাকবে, যা বিগত সিস্টেমগুলো যেগুলো মানুষ গ্রহণ করেনি এবং নতুন যে সিস্টেম চালু হবে তার পার্থক্য হিসেবে। নতুন যারা দেশ পরিচালনায় আসবে তাদের জন্য এ ঘোষণাপত্র একটি নির্দেশক হিসেবে থাকবে। এটি বাংলাদেশের সব মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।
ডিআর/এমবি