সময়ের প্রবাহ থেমে থাকে না। একটি বছর শেষ হয়ে নতুন একটি বছরের আগমনে পৃথিবী নবজীবন লাভ করে। একটি বছরের শেষ আর আরেকটি বছরের শুরু- এমন সময়ের ঠিক মধ্যখানে বসে আমরা অতীতের দিকে ফিরে তাকাই, ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করি।
ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা ছুয়ে শুরু হয়েছে নতুন বর্ষ। বদলে গেছে ক্যালেন্ডারের পাতা। প্রকৃতির নিজস্ব নিয়মেই কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে আরও একটি বছর, বিদায় ২০২৪, স্বাগত ২০২৫। হ্যাপি নিউ ইয়ার (শুভ নববর্ষ)।
মানুষ নতুন বছরকে বরণ করে নেবে বুকভরা আশা আর চোখভরা স্বপ্ন নিয়ে। রাতের আঁধার পেরিয়ে ভোরের পুবাকাশে রক্তিম আভা ছড়িয়ে মুখ দেখাবে নতুন সূর্য। বিদায়ী ২০২৪ সালের সব দুঃখ-বেদনা, হতাশা-গ্লানি যেন মুছে যায় সেই সূর্যের ঝলকে, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
২০২৪ সাল ছিল সবার জন্য ঘটনাময় একটি বছর। বিশ্বজুড়ে ঘটেছে নানা ঘটনা-রটনা। তোলপাড় তুলেছে সেসব ঘটনা। পুরো বিশ্বের মানুষের মধ্যে প্রভাব পড়েছে সেসব ঘটনাপ্রবাহের। তার মধ্যে সবার জীবনে যেমন সফলতার গল্প ছিল, তেমনি কিছু ব্যর্থতা ও চ্যালেঞ্জও ছিল। কিন্তু সময়ের এই স্রোতে ভুল ও ব্যর্থতার স্মৃতিগুলোকে শুধরে নেওয়াই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত নতুন বছর ২০২৫ সালে।
বিদায়ের মুহূর্তে জীবনের ইতিবাচক দিকগুলোকে স্মরণ করে, নেতিবাচক দিকগুলো থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা জরুরি। সবার দরকার নতুনের কথা বলতে শেখা এবং নতুনভাবে জীবন ও চারপাশ সাজানোর প্রত্যয় গ্রহণ করা। নচিকেতা চক্রবর্তীর গানের কলি ‘জীবনের কথা বলাই জীবন’-কথাটিকে ধার করে আমরাও যেন বলতে পারি, ‘নতুনের কথা বলাই জীবন’।
২০২৫ সবার জীবনে নতুন আশা-প্রত্যাশার বার্তা নিয়ে আসুক। নতুন বছরে লক্ষ্য হতে পারে ব্যক্তিগত উন্নতি, পারিবারিক সম্পর্ককে সুসংহত করা, সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা। ২০২৫ সাল সবার সামনে অসংখ্য সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করুক, সেই কামনা।
নতুন বছরে পরিবেশ সুরক্ষা, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়ে আরও মনোযোগী হতে পারি সবাই। ব্যক্তিগত পর্যায়ে নতুন দক্ষতা অর্জন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা, সময়ের সঠিক ব্যবস্থাপনা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, জীবনের মোড় বদলে দেবে।
নতুন বছরের প্রতিটি দিন যেন সাফল্য, আনন্দ ও শান্তির বার্তা বয়ে আনে। পুরাতনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুনকে সাদরে গ্রহণ করে একসঙ্গে আরও এগিয়ে যাব, সেই প্রত্যাশা হোক সবার। ২০২৫ সাল হোক জীবনের এক সফল অধ্যায়।
এমএইচএস