সারাদেশে আগামী তিন দিনে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার (১লা জানুয়ারি) আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, প্রথম দিন (১লা জানুয়ারি) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে সারাদেশে মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা দুপুর পর্যন্ত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দিনের তাপমাত্রা (২-৩) ডিগ্রি সে. হ্রাস পেতে পারে, রাজশাহী বিভাগে (১-২) ডিগ্রি সে, বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশের কোথাও কোথাও দিবাভাগে শীতের অনুভূতি বিরাজমান থাকতে পারে।
দ্বিতীয় দিন (২রা জানুয়ারি)
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এতে সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশের কোথাও কোথাও দিনেও থাকতে পারে শীতের অনুভূতি।
তৃতীয় দিন (৩রা জানুয়ারি)
দ্বিতীয় দিনের মতো একই আবহাওয়া থাকবে জানিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এতে সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশের কোথাও কোথাও দিনেও থাকতে পারে শীতের অনুভূতি।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে জানিয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিম বঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
জেএন/এমএইচএস