Logo

জাতীয়

সুন্দরবনে দুই মাসব্যাপী কাঁকড়া আহরণে নিষেধাজ্ঞা

Icon

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:০৯

সুন্দরবনে দুই মাসব্যাপী কাঁকড়া আহরণে নিষেধাজ্ঞা

সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও প্রজনন মৌসুমে কাঁকড়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুই মাসব্যাপী কাঁকড়া আহরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। 

বুধবার (১ জানুয়ারি) থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুন্দরবনের অভ্যন্তরে সকল নদী ও খালে এ নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকবে। এ সময়ের মধ্যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কাঁকড়া ধরতে, বিক্রি করতে, সংরক্ষণ করতে বা পরিবহন করতে অনুমতি দেয়া হবে না।

বন বিভাগ জানায়, এ সময়কাল কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম। কাঁকড়াগুলো ডিম ছাড়ে ও বংশবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল থাকে। কাঁকড়া আহরণের ফলে তাদের প্রজনন প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে, যা প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করে। এ জন্য প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে বন আইনের আওতায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে জেল অথবা জরিমানা হতে পারে।

বন বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, সুন্দরবনের কাঁকড়া প্রজাতি শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটি সুন্দরবনের খাদ্যশৃঙ্খল রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রজনন মৌসুমে কাঁকড়াদের রক্ষা না করা হলে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে পুরো সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্রে।

তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার জন্য স্থানীয় জনগণ, জেলে ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। যদি কেউ এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া আহরণ করে। তবে তার বিরুদ্ধে বন আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের জলভাগে ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া পাওয়া যায়। প্রতিবছর প্রায় ১০ হাজার জেলে সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের জলভাগে কাঁকড়া আহরণ করেন। দীর্ঘদিন ধরে কাঁকড়া প্রজনন বৃদ্ধি ও সুন্দরবনে কাঁকড়ার প্রাচুর্য্যতা নিশ্চিত করতে বন বিভাগ জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে থাকে।

শেখ আবু তালেব/এমবি  

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর