ছবি : সংগৃহীত
কাজ করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো ভুল করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
রোববার (৫ জানুয়ারি) ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি-২০২৫ উপলক্ষে ঢাকার নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের ‘প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
সিইসি বলেন, ‘গতানুগতিক পদ্ধতিতে কাজ করার সুযোগ নেই। ১৮ কোটি মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রদানে কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। কাজ করতে গিয়ে ইচ্ছাকৃত ভুল কমিশন করবে না।’
আস্থা ফেরাতে কমিশনের পরিকল্পনা
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘ভোটে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে স্বচ্ছতা এবং দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। নির্ভুল ভোটার তালিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত।’ তিনি ভোটার তালিকা হালনাগাদে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং তৎপরতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন।
নির্বাচন কমিশনার তাহমিনা আহমদ বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনের হাতিয়ার হবে আইন এবং বিবেক। ইসির কোনো কর্মকর্তা দুরভিসন্ধিমূলক কাজ করলে সেই দায় কমিশন নেবে না।’
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার মন্তব্য করেন, ‘নির্বাচন যেভাবে কলুষিত হয়েছে তা পুনরুদ্ধারে যা যা করা লাগে তার সবটুকুই করবে কমিশন। ভোটার তালিকা হালনাগাদে অনিয়ম, অবহেলা বা অস্বচ্ছতা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।’
ভোটার তালিকার মান নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ (অব.) বলেন, ‘টাকা অর্জনের উদ্দেশে কেউ যাতে ভোটার তালিকা অন্তর্ভুক্তির কাজে অংশগ্রহণ না করে, তা নিশ্চিত করা হবে। মৃত ভোটার, ভুয়া ভোটার এবং নতুন ভোটার সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের প্রতি মানুষের যে অনাগ্রহ সেখান থেকে এবার বেরিয়ে আসতে পারবে কমিশন। মানুষের মধ্যে যে আস্থার ঘাটতি ছিল তা কমে এসেছে। মানুষ এবার ভোট দিতে চায়। ভোটকে কেউ যাতে নষ্ট করতে না পারে তা নিশ্চিত করা হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি কমিশনের কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন।
এমএম/এটিআর