শিক্ষার্থী জিসান হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
আদালত প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:২০
ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন জিসান হত্যা মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৫ জানুয়ারি) ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন, হাসিবুল হোসেন ওরফে হাসিব, শ্রাবণ ওরফে শাওন ও আব্দুল্লাহ আল নোমান।
এদিকে, সজনী আক্তার নামে এক নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পিপি শরীফুল ইসলাম লিটন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, দণ্ডিতদের মধ্যে শাওন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
অপর দুই আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানাসহ তাদের ফের কারাগারে পাঠানো হয়।
হাসিব গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাটের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে, শাওন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর গোবরার ওবায়দুল্লাহ মোল্লার ছেলে এবং রাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের পঞ্চকরনের জাকির হোসেন ওরফে খোকনের ছেলে নোমান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জিসান পড়াশোনার পাশাপাশি বাইক শেয়ারিংয়ের (পাঠাও) কাজ করতেন।
২০১৯ সালের ১২ মে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শেরেবাংলা নগর থানাধীন শ্যামলী থেকে নিখোঁজ হন।
এ ঘটনায় তার বাবা সাব্বির হোসেন সহিদ গাজীপুরের গাছা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে শেরেবাংলা নগর থানায়ও জিডি করেন।
পরে ওই বছর ২৩ মে গাছা থানাধীন মধ্য কামার জুড়িস্থ হাসিবুল হোসেনের বাসার সেফটি ট্যাংক থেকে জিসানের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওইদিনই জিসানের বাবা শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক সুজানুর ইসলাম।
২০২২ সালের ৩০ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের পর বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে ১৮ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করে।
জেইউ/এমজে