Logo
Logo

জাতীয়

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন নিয়ে সারজিস-রিফাতের ‘ঝগড়া’

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:০৭

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন নিয়ে সারজিস-রিফাতের ‘ঝগড়া’

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনকে কার্যকর করা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়কের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমন্বয়ক রিফাত রশীদের দেওয়া এক পোস্টে কমেন্ট করে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।

পোস্টে রিফাত রশীদ লেখেন, ‘জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনকে এক সপ্তাহের মাঝে ফাংশনাল করুন। অন্যথায় আপনাদের বিরুদ্ধে আমরা সর্বস্তরের জনগণ কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব।’

এই পোস্টের কমেন্টে সারজিস আলম লেখেন, ‘আন্দোলন করা লাগবে না, কাল থেকে তুই দায়িত্ব নে।’

কমেন্টের প্রত্যুত্তরে রিফাত লেখেন, ‘আমি কেন দায়িত্ব নেবো? আপনি এক্সপার্ট লোকজন আনতেছেন না কেন? মেডিকেল, হেলথ ইকোনমিকস সহ এই সেক্টরের এক্সপার্ট মানুষজন আনেন। সারাদেশে অসংখ্য গ্রুপ আর্কাইভ+স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে স্টাবলিশ হইসে। এদের ইনক্লুড করেন। টিমটা বড় করেন। ভ্যারিফিকেশনের সেলটারে আরও বড় করেন।’


এর পরে ওই পোস্টে সারজিস আলমকে আর কোনো কমেন্ট করতে দেখা যায়নি। তবে তাকে মেনশন করে অনেকেই কমেন্ট করেছেন। শেখ আসিফ আহমেদ নামের একজন লেখেন, ‘দায়িত্ব আপনি ছাড়বেন কি না বলেন? ছাড়লে আমরা ব্যবস্থা করব।’ 

সারজিসকে মেনশন করে আকরাম খান নামের একজন বলেন, ‘এইটা তো অযুক্তিক (অযৌক্তিক) কথা।’

জিহাদি এহসান নামের একজন লিখেছেন, ‘যে দায়িত্ব নেওয়ার যোগ্যতা নাই সে দায়িত্ব নিছ কেনো? ছোটলোকের সবচেয়ে বড়ো সমস্যা হলো পাইলে সব খাইতে চায়, হজম করার কথা ভুলে যায়। কতো বড়ো আহাম্মক হলে বলে তুই কাল থেকে দায়িত্ব নে। তুই দায়িত্ব নিছ কেনো? শহীদের রক্তের সঙ্গে তামাশা করতে?’

নাজমুল ইসলাম নামের একজন লিখেছেন, ‘ভাই এসব নিয়ে post করে নিজেদের বিভেদ তৈরি কইরেন না। নিজেরা বসে ঠিক করেন।’

এদিকে, সারজিসের এমন কমেন্ট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে অনেককে। মীর হুজাইফা আল-মামদূহ নামের একজন ওই পোস্ট ও কমেন্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে লিখেছেন, ‘ওনারা স্যাভেজ রিপ্লাই দিয়ে অভ্যস্ত। কাজের সময় খোঁজ পাওয়া যায় না।’

ডিআর/এমজে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর