সাম্প্রদায়িক হামলার বিচারে সরকারের শূন্য সহিষ্ণু নীতি অবস্থান
সংখ্যালঘু হামলার বেশিরভাগ রাজনৈতিক, পুলিশের প্রতিবেদন
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:১৭
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ঘটে যাওয়া আক্রমণগুলো তদন্তে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এসব হামলার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকার শূন্য সহিষ্ণু নীতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) প্রকাশিত পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ১,৭৬৯টি অভিযোগের মধ্যে ১,২৩৪টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মাত্র ২০টি সাম্প্রদায়িক। এছাড়া, ১৬১টি অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। এ পর্যন্ত ১১৫টি মামলা করা হয়েছে এবং ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং পুলিশের এই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতি কোনো ধরনের সহনশীলতা দেখাবে না। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘুদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।
প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, সরকারের অগ্রাধিকার হলো মানবাধিকার রক্ষা করা এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। পুলিশের পক্ষ থেকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করা হয়েছে, যেখানে অভিযোগ জানানো যাবে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ আসা প্রতিটি অভিযোগ গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার দিন, ১,৪৫২টি ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশের তদন্তে নিশ্চিত হয়েছে যে এগুলোর বেশিরভাগই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা।
ডিআর/এমএইচএস