হজ-ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরের ৭ নির্দেশনা
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৩৪
হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য মেনিনজাইটিসের টিকা বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সৌদি আরব সরকারের নতুন নির্দেশনার আলোকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম দেশের সব এয়ারলাইন্স ও বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এ নির্দেশনার বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যারা হজ বা ওমরাহ করতে যাবেন বা ভিজিট ভিসায় সৌদি আরব যাবেন, তাদের সবার জন্য মেনিনজাইটিসের টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক। এ টিকা ভ্রমণের কমপক্ষে ১০ দিন আগে নিতে হবে। ভ্রমণের সময় টিকা নেওয়ার সনদ সঙ্গে রাখতে হবে। তবে এক বছরের নিচে বয়সী শিশুদের জন্য টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। যারা গত তিন বছরের মধ্যে টিকা নিয়েছেন, তাদের নতুন করে টিকা নিতে হবে না।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, এইচএমপিভি (হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস) সম্পর্কিত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাত্রী, স্টাফ ও দর্শনার্থীদের মাস্ক ব্যবহার এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। যদি কারো মধ্যে জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ দেখা দেয়, তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের হেলথ সার্ভিসে জানাতে হবে।
এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারি করা সাতটি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। নির্দেশনাগুলো হলো:
১. শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।
২. হাঁচি বা কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখুন।
৩. ব্যবহৃত টিস্যু অবিলম্বে ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন এবং হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪. আক্রান্ত ব্যক্তিদের এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।
৫. ঘনঘন সাবান ও পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।
৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করবেন না।
৭. জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট থাকলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন এবং প্রয়োজনে হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
এ নির্দেশনাগুলো বিমানবন্দর ও স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে নতুন সতর্কতা ব্যবস্থা হিসেবে প্রণয়ন করা হয়েছে। যাতে হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
এনএমএম/এমজে