Logo

জাতীয়

অসম চুক্তি নিয়ে ভারতের সাথে আলোচনা করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:০৭

অসম চুক্তি নিয়ে ভারতের সাথে আলোচনা করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ভারতের সাথে সম্পাদিত সীমান্ত সংক্রান্ত সকল ধরনের অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।  

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আগামী ১৭-২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিতব্য ৫৫তম বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ২০১১ সালে ভারতের সাথে বাংলাদেশের তিন বিঘা করিডোর ও দহগ্রাম করিডোর সংক্রান্ত একটি অসম চুক্তি হয়েছিল, যা পুনরায় মূল্যায়ন করা হবে। এছাড়া, মহিষাশন-কুলাউড়া আন্তঃদেশীয় রেলপথের কুলাউড়া রেল স্টেশন সীমান্ত থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার ভেতরে অবস্থিত হওয়ায় সেখানে কাস্টমসসহ একটি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হবে। বাংলাদেশ তার সীমান্তের ভেতরে কাউকে অনুপ্রবেশের সুযোগ দেবে না বলেও জানান তিনি।   

সীমান্ত উন্নয়ন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, সীমান্তে ১৫০ গজের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে হলে দুই দেশের সম্মতি প্রয়োজন। কোনো মসজিদ, মন্দির বা উন্নয়নমূলক স্থাপনা তৈরি করতে হলে দুই দেশের আলোচনার মাধ্যমে অনুমোদন নিতে হবে। একতরফাভাবে কোনো কাজ করার সুযোগ নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।  

সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শুধু ছাড় দিলেই আস্থা বাড়ানো সম্ভব নয়। আলোচনার মাধ্যমেও তা অর্জন করা যায়। ভারতীয় সীমান্ত থেকে বাংলাদেশে ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন মাদক প্রবেশ করে। ভারত ওষুধ হিসেবে তৈরি করলেও তা মাদক হিসেবেই ব্যবহৃত হচ্ছে। সীমান্ত হত্যা ও মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।  

তিনি আরও বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ বা ভারতীয় নাগরিকদের দ্বারা নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো, অপহরণ বা আটক করার মতো ঘটনা বন্ধে এবারকার সীমান্ত সম্মেলনে জোরালোভাবে আলোচনা করা হবে। পাশাপাশি, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, ভারত থেকে আসা অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরক চোরাচালান রোধ, নদীর পানির ন্যায্য বণ্টন এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা হবে।  

সীমান্তের অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে বর্জ্য পানি প্রবাহিত হয় এমন চারটি খালে পানি শোধনাগার স্থাপনের প্রস্তাব জানানো হবে। এছাড়া, বিতর্কিত মুহুরীর চর এলাকার সীমানা নির্ধারণ এবং বিভিন্ন এলাকায় বর্ডার পিলার স্থাপন নিয়েও ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে তিনি জানান।  

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে সরকার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণের স্বার্থ রক্ষায় সরকার কোনো ধরনের আপস করবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।  

এনএমএম/এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর