Logo

জাতীয়

ইজতেমা

সরকারের সিদ্ধান্তে সা’দপন্থীদের আপত্তি, পাল্টা চিঠি

নুর মোহাম্মদ মিঠু

নুর মোহাম্মদ মিঠু

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:৫৪

সরকারের সিদ্ধান্তে সা’দপন্থীদের আপত্তি, পাল্টা চিঠি

বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে শুরায়ে নেজামি (মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের) ও মাওলানা মোহাম্মদ সা’দ অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ যেন শেষই হচ্ছে না। প্রাণহানি-মামলাসহ নানা অপ্রীতিকর অনাকাঙ্খিত ঘটনার পরও দুই পক্ষকে একছাতার নিচে এনে এবারও ইজতেমা আয়োজন সম্ভব হয়নি।

যদিও সরকারের তরফ থেকে এ নিয়ে চেষ্টার কমতি ছিল না। উভয়পক্ষের নানা দাবি আর প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পৃথকভাবে ইজতেমা আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এবার অন্য ইস্যুতে ফের বেঁকে বসেছে সা’দ অনুসারীরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়ে পাল্টা চিঠি দিয়েছেন তারা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সা’দ অনুসারীদের চিঠি পর্যালোচনা করে জানা যায়, গত নভেম্বরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্টিত ইজতেমা সংক্রান্ত বৈঠকে ৩১ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম পর্বের ইজতেমা আয়োজন করবে তাবলীগ জামাতের জুবায়ের অনুসারীরা।

ইজতেমা শেষে ৬ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বাদ মাগরিব প্রশাসনের নিকট ইজতেমা ময়দান হস্তান্তর করবেন তারা। অন্যদিকে ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা আয়োজন করবে তাবলিগ জামাতের সা’দ অনুসারীরা। ১৮ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) বাদ মাগরিব তারাও প্রশাসনকে ইজতেমা ময়দান হস্তান্তর করবে।


তবে ওই সিদ্ধান্তের আলোকে সা’দ অনুসারীদের দেওয়া চিঠিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করে,  আগামী বছর টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে তারা ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ পাবে না। এ বিষয়ে জুবায়েরপন্থী ও সা’দপস্থী অনুসারীদের সম্মতি রয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

তবে, সা’দ অনুসারীরা মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছেন। পাল্টা চিঠিও দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী বছর সা’দ অনুসারীরা টঙ্গীতে ইজতেমা আয়োজন করবে না; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তের সঙ্গে তারা একমত নয়। আর এ বিষয়ে মাওলানা জুবায়ের ও সা’দ অনুসারীদের সম্মতি রয়েছে, সেটিও ঠিক নয়।

তারা বলছেন, আমরা এ বিষয়ে কখনো মৌখিক বা লিখিত সম্মতি দিইনি। ইজতেমা সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গত নভেম্বরের বৈঠকেও এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শুধু তাই নয়- এ পর্যন্ত ইজতেমা সংক্রান্ত এ ধরনের কোনো বৈঠকেও এমন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে প্রথম পবের্র ইজতেমা শুরুর আগে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ইজতেমা মাঠ পরিদর্শনে যান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। 

তিনি বলেন, ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষের পুনরাবৃত্তি এড়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা মাঝখানে একটু সময় বাড়িয়েছি, যেন প্রথম পক্ষ আমাদের কাছে মাঠ বুঝিয়ে দেওয়ার পর পুরো মাঠ ও আশপাশের এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারি।

আইজিপি বলেন, আমরা মাঠ বুঝে নেওয়ার পর যখন সেটিসফাইড (সন্তুষ্ট) হব, কোনো নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকবে না, তখন দ্বিতীয় পক্ষকে ইজতেমা আয়োজনের আহ্বান জানাব। এজন্য আমরা একটু সময় নিয়েছি। এটা দুই পক্ষকে নিয়ে বসেই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

  • এনএমএম/ওএফ
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর