ইজেতমা ২নং গেটের সামনের দৃশ্য, ঢাকা-ময়মনসিংহ রোড। ছবি : বাংলাদেশের খবর
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার জামাত। প্রতি বছর ইজতেমাকে কেন্দ্র করে গাজীপুরসহ ঢাকার অধিকাংশ সড়কেই যানজটের সৃষ্টি হলেও এবার এখন পর্যন্ত সেটি লক্ষ্য করা যায়নি।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সড়কে ইজতেমার কোনোরকম প্রভাব দেখা যায়নি। তবে জুমার নামাজের সময় মুসল্লিদের উপস্থিতি কিছুটা বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। ওই সময় সড়কে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন পুলিশ কন্ট্রোল রুমের কর্মকর্তারা।
ইজতেমার দায়িত্বে থাকা কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ সার্কেলের এএসপি এনামুল হক বাংলাদেশের খবরকে বলেন, আইজিপি স্যার গত ২৯ জানুয়ারি ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন করে গেছেন। তিনি বলেছেন, এবারের ইজতেমা হবে অতীতের তুলনায় সর্বোচ্চ নিরাপদ। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে সারা দেশের বিভিন্ন জোনে দায়িত্বরত বিভিন্ন র্যাংকের কর্মকর্তারাও এবার ইজতেমার নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, সড়কে এখন পর্যন্ত কোনো প্রভাব পড়েনি। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ সবাই সার্বিক নিরাপত্তার পাশাপাশি সড়কেও যেন ভোগান্তি না হয় সেজন্য কাজ করছেন। আশা করছি আগের মত এবার সড়কে ভোগান্তি হবে না।
এদিকে এবারের ইজতেমা দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হওয়ায় সড়কে যানবাহনের চাপ কম বলে মনে করছেন পরিবহন শ্রমিকরা। তারা বলছেন, আগের মত এবার ভোগান্তি হচ্ছে না আমাদের।
ইজেতমা ২নং গেটে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট আজাদ হোসেন বাংলাদেশের খবরকে বলেন, অন্যান্য বছর শুক্রবারের ইজতেমায় মুসুল্লিদের যে উপস্থিতি ঘটতো এবার সেটা নেই। দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হওয়ায় মুসল্লির আগমন কিছুটা কম এবার। সে কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সড়কেও ইজতেমার প্রভাব কম।
একই স্থানে আজমেরী গ্লোরি পরিবহনের চালক আবুল কাশেম বাংলাদেশের খবরকে জানান, আগের তুলনায় এবার চাপ কম। সকাল থেকেই আমরা সড়কে আছি। তবে শুক্রবার হিসেবে আগের মত ভোগান্তি নেই সড়কে।
এদিকে বিমানবন্দর সড়ক, কুড়িল বিশ্বরোড, নর্দা, বাড্ডা, কাকলী বনানী ও মহাখালী সড়ক ছাড়াও ইজতেমা ময়দান হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ রোড, নরসিংদী রোডেও যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এনএমএম/এমএইচএস