Logo

জাতীয়

সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনের ১০০ বিঘা জমিসহ একাধিক সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ

Icon

আদালত প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:২১

সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনের ১০০ বিঘা জমিসহ একাধিক সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ

ঢাকার একটি আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদের ১০০ বিঘা জমিসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।  

দুদকের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত হারুনের মালিকানাধীন ১০০ বিঘা জমি, পাঁচটি ভবন ও দুটি ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে তার নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এসব হিসাবে মোট ১ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৪৬৮ টাকা জমা রয়েছে।  

তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ঢাকার উত্তরায় ৭ দশমিক ৪৫ কাঠা জমির ওপর নির্মিত ৩ কোটি টাকা মূল্যের একটি ভবন ও গুলশানে ১০ দশমিক ৩৬ শতক জমিতে ৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা মূল্যের আরেকটি ভবন রয়েছে হারুনের নামে। এছাড়া কুড়িলে একটি সেমিপাকা টিনশেড বাড়ি, খিলক্ষেতে একতলা একটি দালান ও সেমিপাকা একটি টিনশেড বাড়িও তার মালিকানাধীন। এসব সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ চাওয়া হয় আবেদনে।  

এছাড়া উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরের একটি সাততলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি ফ্ল্যাট ও জোয়ার সাহারার ছয়তলা ভবনের ষষ্ঠ তলায় আরেকটি ফ্ল্যাটের পাশাপাশি আশিয়ান সিটিতে পাঁচ কাঠার একটি প্লটও ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।  

হারুনের নামে কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার ও নারায়ণগঞ্জে ৯৯ দশমিক ১৮ বিঘা জমি রয়েছে, যার মধ্যে শুধু কিশোরগঞ্জেই ৯১ দশমিক ৩২ বিঘা জমি তার নামে নিবন্ধিত।  

দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগের তদন্ত চলছে। গোপন সূত্রে জানা গেছে, তিনি এসব সম্পদ দ্রুত বিক্রি বা অন্যের নামে স্থানান্তর করতে পারেন, তাই সম্পদ রক্ষার স্বার্থে তা ক্রোকের নির্দেশ প্রয়োজন।  

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে এই সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এর আগেই আদালত তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

ডিআর/এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর